ভোটের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী সিইও দফতরের কর্তারা। —ফাইল চিত্র।
‘কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’ (কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর)-এর আওতায় এল ভোটার সচেতনতাও।
এ ব্যাপারে কর্পোরেট মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই আবেদনে সাড়া মিলেছে। তার পরেই রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-দের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে এ নিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে এ রাজ্যের সিইও দফতর।
নির্বাচন ময়দানে কর্পোরেট জগত অবশ্য কয়েক বছর ধরেই নেমেছে। গত লোকসভা ভোটের সময় বেশ কিছু সংস্থা আঙুলে ভোটের কালি দেখালে তাদের পণ্যে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল।
২০০৮ সালে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে একটি চা প্রস্তুতকারক সংস্থার ‘জাগো রে’ প্রচার সাড়া ফেলেছিল। এ বারও কর্পোরেট সংস্থাগুলির হাত ধরে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করা নিয়ে আরও বেশি করে প্রচার করতে চাইছে কমিশন। যোগ্য অথচ ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি, এমনটা যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। প্রচারের সাহায্যে এগিয়ে আসা কর্পোরেট সংস্থাগুলির যে যে জেলায় অফিস আছে, সেখানে ক্যাম্প করে নাম তোলা হবে। জেলা প্রশাসনকে এই দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। ক্যাম্প হবে কলকাতাতেও। এ ছাড়া ইভিএম, ভিভিপ্যাট-সহ ভোটের নানা খুঁটিনাটি বিষয়েও সচেতন করা হবে আমজনতাকে।
ভোটের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আগামী মঙ্গলবার রেল, মেট্রো রেল, কলকাতা পুরসভা, অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো, বিভিন্ন এফএম চ্যানেল, দূরদর্শন ও বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন সিইও দফতরের কর্তারা। পাশাপাশি গুগ্ল এবং ফেসবুককে ‘পার্টনার’ হিসেবে চাইছে এ রাজ্যের সিইও দফতর।