শহিদ অবশ্যই। তবে কার্গিল যুদ্ধেই কি শহিদ হয়েছেন তিনি? গুরমেহর কৌরের বাবাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। যুদ্ধের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ঝড় তুলেছেন বছর কুড়ির এই কলেজ-ছাত্রী। সম্প্রতি এক ভিডিওয় তিনি বলেছেন, পাকিস্তান নয়, শত্রু আসলে যুদ্ধ। যা না থাকলে তাঁর বাবা ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংহ আজও বেঁচে থাকতেন। ভিডিওয় গুরমেহর কয়েকটি কাগজে হাতে লিখে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। যার একটিতে লেখা ছিল, তাঁর বাবা ১৯৯৯-এর কার্গিলে মারা যান।
সেনা সূত্র বলছে, গুরমহরের বাবা ৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংহ শহিদ হন কূপওয়ারায়। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে। ১৯৯৯–এ তখন কার্গিল যুদ্ধে সবে বিজয় ঘোষণা করেছে ভারত। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে ষুদ্ধ শেষ বললেও লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। আরও হামলার আশঙ্কায় চলছিল অভিযান রক্ষক। সেই অভিযানেই জঙ্গি হামলা মোকাবিলা করতে গিয়ে শহিদ হন ক্যাপ্টেন মনদীপ। সেনাকর্মীদের কাছে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সে-ও কার্গিল যুদ্ধেরই অংশ। ফলে প্রাক্তন সেনা-কর্মীদের অনেকেই গুরমেহরের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলছেন তিনি তো শান্তির পক্ষে বলেছেন। ভারত- পাকিস্তান কারও পক্ষ নিয়ে বলেননি। তবে কেন এত বিতর্ক!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর অবশ্য বক্তব্য, ওই ছাত্রীর বাবা যখন মারা যান তখন যুদ্ধ চলছিল না। শহিদের অসম্মান করছেন তাঁর কন্যা। রিজিজুর কথায়, ‘‘তাঁরা বাবা নিশ্চয়ই চোখের জল ফেলছেন।’’