দ্রুত বাড়ছে বরাক নদীর জল। অন্নপূর্ণাঘাটে বিপদসীমা পেরিয়ে গিয়েছে সন্ধ্যারাতে। বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছেন উপত্যকার মানুষ। বিশেষ করে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় উদ্বেগ বেড়ে চলেছে।
এই অবস্থায় জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে। শেষপর্যন্ত বন্যা দেখা দিলে বিপন্ন মানুষকে উদ্ধার এবং ত্রাণকার্যের জন্য যেন কোনও সমস্যা না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশে। শিলচরে ডিস্ট্রিক্ট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার যে সারাক্ষণ খোলা রয়েছে, সে কথাও সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন। তিনি বন্যার্তদের আশ্রয়ের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এবং সমস্ত ব্লক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্কুল খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। জলসম্পদ বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছেন, তিনি যেন নদীবাঁধের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বালির বস্তা এবং অন্যান্য সামগ্রী মজুত রাখেন। স্থানে স্থানে খালাসিদের মোতায়েন করতেও বলে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, বিকেলেই অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণ দফতরের নৌকো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ
করে দেওয়া হয়েছে শহরের স্লুইসগেটগুলি। মানুষের আতঙ্ক, বৃষ্টি হলে বন্যাতঙ্কের সঙ্গে ভুগতে হবে জমা জলের সমস্যায়ও।
অন্য দিকে, হাইলাকান্দির পাঁচগ্রাম এলাকায় জাতীয় সরক জলমগ্ন সেখানে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। আজ হাইলাকান্দির ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক টি টি দাওলাগোপু এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছেন। আগামী তিন দিন পাঁচগ্রামের জাতীয় সড়কে সমস্ত যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে হালকা গাড়ি বা অ্যাম্বুল্যান্স কাগজকলের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে।