নেটদুনিয়ায় ভাইরাল মান্যবরের ভিডিয়ো
নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান,
বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান...
ভারত বৈচিত্রময় দেশ। এ দেশের মাটিতে লুকিয়ে রয়েছে এক অপার্থিব সৌন্দর্য্য। যে মাটিতে যুগ যুগ ধরে হাজারো জাতি-ধর্ম-বর্ণ-ভাষা পরিচ্ছদের এক অভূতপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে। এই বৈচিত্রই ভারতের আসল পরিচয়। যে পরিচয় বিশ্বের দরবারে ভারতকে আলাদা স্থান দিয়েছে। ভারতের এই স্বকীয়তাকেই চলচ্চিত্রের আকারে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছে মান্যবর। চলচ্চিত্রের কবিতায় গলা মিলিয়েছেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন।
ক্যাম্পেইনটির মূল ভাবনা — ‘Pehno Apni Pehchaan’। যার অর্থ খানিকটা এরকম —‘পরিধানই হোক আত্মপরিচয়।’ সেই প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় পোশাক আসলে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম প্রধান ধারক ও বাহক। যার নান্দনিকতায় প্রাদেশিক সংস্কৃতির ঐতিহ্যের শোভা বৃদ্ধি হয়। মান্যবরের এই নিবেদনটির মধ্যে দিয়ে যেন এই বক্তব্যই উঠে এসেছে।
‘ইসমে হ্যায় হিন্দুস্তান’ — এই শব্দবন্ধনী দিয়ে শেষ হচ্ছে মান্যবরের এই বিজ্ঞাপন। যে শব্দ বন্ধনী মান্যবরের সঙ্গে এক সুতোয় জুড়ে দিয়েছে ভারতকে। যে ব্র্যান্ডের গায়ে লেগে রয়েছে ভারতের মাটির গন্ধ। যার প্রতিটি সুতোয় লেখা রয়েছে দেশের শিল্পীদের কারিগরির আখ্যান। যে পোশাক জুড়ে মিলেমিশে বাঁচে মায়ের আদর, বাবার না বলা ভালবাসা, আর আপ্যায়নের সুর। যে কারুকাজ দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে। আসলে মান্যবর যেন ভারতের সমার্থক! যাদের শিল্প দেশের কথা বলে! যারা দেশের সঙ্গে চলে।
এই ভিডিয়োটির মূল ধারণা, সৃজনশীলতা এবং উপস্থাপনার নেপথ্যে রয়েছে শ্রেয়াংস ইনোভেশনস। ভিডিয়োটির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সংস্থার ডিরেক্টর শ্রেয়াংস বেদ জানিয়েছেন, “মান্যবরের প্রতিটি নিবেদনের মধ্যেই কোনও না কোনওভাবে ভারতের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের রসদ রাখা থাকে। সেই পথ ধরেই আমরা এগিয়েছি। এই চলচ্চিত্রটি আসলে ভারতের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও মূল সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটকে এক করে দিয়েছে। মান্যবরের আসল অর্থ যে আমাদের সংস্কৃতিতেই অন্তর্নিহিত রয়েছে, তা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে এই ভিডিয়ো।”
মান্যবরের এই নিবেদনে স্বভাবতই আপ্লুত নেটদুনিয়া। দেশের এমন ঐতিহ্যকে মূহূর্তে ভাইরাল করেছেন তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা। ক্রীড়া জগত থেকে বিনোদন জগত, ভালবাসা জানিয়েছেন প্রত্যেকেই। এই ভিডিয়োটি নিজেদের নেটমাধ্যমে শেয়ার করেছেন স্মৃতি মান্ধানা, বিবেক অগ্নিহোত্রী, অনুপম খের, বজরং পুনিয়া, মেরি কম, অভিনব বিন্দ্রা, মিতালি রাজ, সাইনা নেহওয়াল, নীরজ চোপড়া, সোনু সুদ, সাক্ষী মালিক, অক্ষর পটেল, গীতা ফোগট এবং আরও অনেকে।
অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ভিডিয়োটি শেয়ার করে লিখেছেন, “প্রশিক্ষণ হোক বা প্রতিযোগিতা, যেখানেই বেড়াতে যাই না কেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয়দের উষ্ণ সমর্থন আমায় সর্বদা অভিভূত করে।”
মিতালি রাজ তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়োটি শেয়ার করে লিখেছেন, “আমাদের পরিধান পরার চেয়ে সুন্দর আর কিছু হতে পারে না। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত করে যে আপনি দেশকে নিয়ে কতটা গর্বিত।”
এই ক্যাম্পেইনের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বেদান্ত ফ্যাশন লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার বেদান্ত মোদি জানান, “ভারতীয় পোশাক ও সংস্কৃতির প্রচারে মান্যবর প্রথম থেকেই কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই ভিডিয়োয় অমিতাভ বচ্চনের গলায় পাঠ করা কবিতাটি গ্রাহকদের মনে অবশ্যই ইতিবাচক ভাবনা প্রতিধ্বনিত করবে।”
চলুন দেখে নিন, আরও কে কী বলছেন এই ভিডিয়োটি নিয়ে —
আসলে ভারতের মধ্যে রয়েছে আরও একটা ভারত। যে ভারত শুধু সংস্কৃতির কথা বলে। সেই সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই মান্যবরের এই বিশেষ নিবেদন।
এই প্রতিবেদনটি মান্যবরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।