প্রতীকী ছবি।
প্রার্থী বাছাই নিয়ে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল বরাক উপত্যকার বিজেপি শিবিরেও। সোনাই বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন আশিস হালদার। দল সেখানে ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হক লস্করকে ফের মনোনয়ন দিয়েছে। ক্ষোভে আশিসবাবু বিজেপি ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শিলচর আসনে তিন জন দাবিদার ছিলেন। দল নতুন মুখ দীপায়ন চক্রবর্তীকে দাঁড় করিয়েছে। যাতে ক্ষিপ্ত হয়েছেন বর্তমান বিধায়ক দিলীপকুমার পাল ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থের পুত্র কণাদ পুরকায়স্থ। দিলীপবাবু জানিয়েছেন, সমর্থকেরা তাঁকে নির্দল হিসেবে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। কবীন্দ্রবাবু অবশ্য ছেলে কণাদকে বলেছেন, “এখন সংগঠন নয়, রোজগারে
মন দাও।”
ক্ষুব্ধ করিমগঞ্জ বিধানসভা আসনের একাংশ বিজেপি কর্মীও। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মানস দাসকে বিজেপি প্রার্থী করায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। দায়ী করেন শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়কে। কবীন্দ্রবাবুও বলেন, “কণাদের টিকিট না-পাওয়ার পিছনে রয়েছেন রাজদীপ। বাছাই কমিটির বৈঠকে হুমকি দিয়েছিলেন, দীপায়ন টিকিট না-পেলে তিনি সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন।”
রাজদীপ এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ টিকিট না পেয়ে ক্ষিপ্ত বিজেপির মন্ত্রী তথা কার্বি আংলংয়ের বিধায়ক সুম রংহাং দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ডিফু থেকে প্রার্থী হতে পারেন তিনি। প্রার্থী বাছাই নিয়ে অশান্তি চলছে বড়োভূমিতেও। বিজনি আসন বিজেপি হাতে রাখায় ক্ষোভ দেখায় ইউপিপিএল সমর্থকেরা। টিকিট না-পেয়ে অগপ ত্যাগ করেছেন বিধায়ক সত্যব্রত কলিতা। দল ছাড়তে পারেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্তও।
আজ অগপ এবং ইউপিপিএলের সভাপতি অতুল বরা, প্রমোদ বড়োদের নিয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিতকুমার দাস। অতুল ও
প্রমোদদের বক্তব্য, সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়। অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। কিন্তু টিকিট পাওয়ার থেকেও জোটের নীতি-আদর্শ অনেক বড় কথা। সকলে মিলে অসমের উন্নয়নের জন্য লড়তে হবে।
অগপ এ দিন সন্ধ্যায় আট জনের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। রয়েছে দুই মন্ত্রী অতুল বরা ও কেশব মহন্তর নাম। দক্ষিণ করিমগঞ্জের এআইইউডিএফ বিধায়ক আজিজ আহমেদ খান আজ অগপতে যোগ দিয়েছেন।