(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী, শমীক ভট্টাচার্য (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাতে অন্তত বারো থেকে পনেরোটি জনসভা করেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সেই আর্জি জানালেন শমীক ভট্টাচার্যেরা। সূত্রের মতে, রাজ্য নেতৃত্বের ওই আবেদনে মোটের উপরে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে। আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, দরকারে আরও বেশি বার পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিকে, ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই অন্তত একশোটি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম মোটের উপরে চূড়ান্ত করে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে বিজেপি।
গত কাল সন্ধ্যায় দলের হয়ে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ভূপেন্দ্র যাদবের বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্য সভাপতি শমীক-সহ বাংলার নেতারা। এক দিনের জন্য দিল্লি সফরে আসা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ওই বৈঠকে যোগ দেন। সূত্রের মতে, বৈঠকে বাংলার রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হয়। বিশেষ করে শাসক দলের হামলা রোখার প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখতে কেন্দ্রের সম্ভাব্য ভূমিকা কী হতে পারে, তা নিয়ে কথা হয়।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খুন, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার সেই মামলা চালু রয়েছে হাই কোর্টে। বিজেপি সূত্রের মতে, সেই মামলাগুলিকে কী ভাবে আরও বেশি করে প্রচারের আলোয় এনে তৃণমূলের ‘প্রকৃত চেহারা’ তুলে ধরা যায়, তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। গত কালের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির আইনজীবী সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ ও দলীয় আইনজীবী নেতা কবীর শঙ্কর। হাই কোর্টে সুরাহা না হলে ওই মামলাগুলি যাতে সুপ্রিম কোর্টে আসে, তা নিশ্চিত করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গে আসা নিয়ে বৈঠকে কথা হয়। সূত্রের খবর, এসআইআর সম্পর্কে মতুয়াদের আতঙ্ক কাটানোর বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী ২০ ডিসেম্বর রানাঘাটে সভা করার কথা মোদীর। তা ছাড়াও ভোট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী যাতে রাজ্যে ১২-১৫টি জনসভা করেন, সেই অনুরোধ করেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। কোথায় সভাগুলি হবে, তারও একটি প্রাথমিক তালিকা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা শমীকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রশ্নে ঐকান্তিক। তাই দলের যত বার দরকার হবে, তত বার রাজ্য সফরে যাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজ্যে ভোট ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। অতীতে একাধিক রাজ্যে ভোট ঘোষণার আগে প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও সেই কৌশল মেনে এগোনোর কথা ভাবা হচ্ছে। প্রায় একশোটি আসনে জানুয়ারির মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কথা ভাবা হয়েছে, যাতে তলে তলে প্রস্তুতির জন্য বাড়তি সময় পান ওই কেন্দ্রের প্রার্থীরা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে