Meghalaya Honeymoon Murder

রাজা রঘুবংশী খুনে সোনম-সহ ধৃত পাঁচ জনকে জেরা করে কোন আট প্রশ্নের উত্তর মিলল? কোন প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোনমের মধ্যে অনুতাপের কোনও ছাপ নেই। কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫ ১৭:৩৮
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সোনম। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং তিন ভাড়াটে খুনিকে। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোনমের মধ্যে অনুতাপের কোনও ছাপ নেই। কোনও কোনও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন। এখন সেই প্রশ্নের উত্তর বার করাই মেঘালয় পুলিশের চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

রাজার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছিল। সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা চালান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, এই হত্যাকাণ্ডে যে রহস্য তৈরি হয়েছে, তা উন্মোচনে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই উত্তরগুলিই এই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে সাহায্য করবে বলে দাবি তাঁদের। সূত্রের খবর, আটটি প্রশ্নের উত্তর এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের জেরা এবং প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে ওই উত্তরগুলি পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

* এই হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রী রাজ কুশওয়াহা। সোনমও এই হত্যাকাণ্ডে সমান ভাবে অভিযুক্ত। এমনই উঠে এসেছে তদন্তে।

Advertisement

* পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, সোনমের বিয়ের ১১ দিন আগেই রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন রাজ।

* ১৯ মে ভাড়াটে খুনিরা গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছিল। সেখান থেকেই খুনের জন্য অস্ত্র কিনেছিল তারা।

* গুয়াহাটিতে রাজাকে এক বার খুনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা বিফলে যায়। তার পর মেঘালয়ে আরও তিন বার খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল রাজাকে। সেখানেও দু’বার ব্যর্থতা আসে। কিন্তু তৃতীয় বারে রাজাকে খুন করা হয়।

* ছবি তোলার বাহানায় রাজাকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। তার পর সেখানে রাজকে খুন করে দেহ ফেলে দিয়ে সকলে চলে যান।

* রাজা খুন হওয়ার পর ২৫ মে ইনদওর চলে আসেন সোনম। সেখানে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন।

* ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয় ওয়েইসডংয়ে। ৪ জুন শেষকৃত্য হয়। ওই সময় সোনম ইনদওরেই ছিলেন।

* রাজ এবং সোনম ৮ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজ়িপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে এক পরিচিতের কাছে সোনমকে দিয়ে আসেন রাজ।

এ পর্যন্ত এই উত্তরগুলিই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। তবে এখনও যে প্রশ্নের উত্তর অধরা সেগুলি হল:

* রাজা এবং সোনমের তিনটি ফোন কোথায়?

রাজা এবং সোনমের কাছে মোট তিনটি মোবাইল ফোন ছিল। একটি মোবাইল সোনমের এবং দু’টি মোবাইল রাজার ছিল। যেখানে রাজার দেহ উদ্ধার হয়, সেখান থেকে দু’টি মোবাইলের স্ক্রিন উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু ফোন পাওয়া যায়নি। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে পুলিশ জানতে পেরেছে, যেখানে রাজা খুন হন, সেখানে ওই সময় সোনম এবং রাজার সব ক’টি ফোনই সক্রিয় ছিল। পুলিশের সন্দেহ, প্রমাণ লোপাটে তিনটি মোবাইল খাদে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন জায়গায় ফেলা হয়েছে, তার হদিস মেলেনি। সোনমকে এই তিনটি ফোনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে পুলিশ। কিন্তু কোনও উত্তর পায়নি বলে সূত্রের খবর।

* রাজার সোনার হার এবং আংটি কোথায়?

রাজার সোনার হার এবং আংটি কোথায়, এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাননি তদন্তকারীরা। রাজার মায়ের বয়ান অনুযায়ী, গুয়াহাটি যাওয়ার আগে সোনমের কথাতেই সোনার হার এবং আংটি পরেছিলেন রাজা। কিন্তু ২ জুন যখন রাজার দেহ উদ্ধার হয়, তখন সেই সোনার হার এবং আংটি ছিল না। এই বিষয়টি নিয়েও সোনমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কোনও জবাব পাননি তদন্তকারীরা।

* হত্যার পর কী পরিকল্পনা ছিল রাজের?

তদন্তকারীদের একটি সূত্রের খবর, হত্যার পর কী পরিকল্পনা ছিল রাজদের, এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। জেরা করেও এর উত্তর মেলেনি বলে সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement