(বাঁ দিকে) নববধূ সোনম এবং তাঁর স্বামী রাজা রঘুবংশী (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান ইনদওরের এক দম্পতি। ১১ দিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার স্বামীর দেহ উদ্ধার হলেও, এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি স্ত্রীর! খাদের মধ্যে ওই যুবকের দেহ মেলে। পুলিশ মনে করছে, সম্ভবত খুনই হয়েছেন ওই যুবক। উদ্ধার হয়েছে একটি রক্তমাখা দা এবং বর্ষাতি। পুলিশের অনুমান, বর্ষাতিটি ওই দম্পতির হতে পারে।
গত ১১ মে ইনদওরের যুবক রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে সোনমের বিয়ে হয়েছিল। গত ২০ মে স্ত্রীকে নিয়ে মেঘালয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেন রাজা। ২৩ মে পৌঁছোন চেরাপুঞ্জিতে। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও খোঁজ ছিল না ওই নবদম্পতির। সোমবার ওই অঞ্চলেরই এক খাদের তলা থেকে রাজার দেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় পুলিশ সুপার বিবেক সিয়াম বলেন, ‘‘আমরা একটি রক্তমাখা দা এবং বর্ষাতি উদ্ধার করেছি।’’ এই বর্ষাতি থেকে ঘটনাপ্রবাহের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে বলেও আশাবাদী পুলিশ।
রাজার দেহ উদ্ধার হলেও তাঁর স্ত্রী সোনমের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রাজা কি খুন হয়েছেন? হলে কী উদ্দেশ্যে? ডাকাতি, প্রতিহিংসা না কি অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজাদের কোনও শত্রুতা ছিল— কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিতে নারাজ পুলিশ। বিবেক জানান, কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছোনোর আগে আরও তথ্যপ্রমাণের প্রয়োজন। তিনি জানান, স্মার্টওয়াচটি মিললেও মৃতের মানিব্যাগ, সোনার চেন, আংটি বা মোবাইল— কিছুই পাওয়া যায়নি।
রাজার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনমের সঙ্গে শেষ বার ২৩ এপ্রিল তাঁর শাশুড়ির ফোনে কথা হয়েছিল। সে দিন সোনমের উপবাস ছিল। সোনমকে রাজার মা অনুরোধ করেছিলেন, যাতে উপবাস ভেঙে কিছু খেয়ে নেয়। ঘুরতে গিয়ে না খেয়ে থাকলে শরীর খারাপ হতে পারে। যদিও সোনম জানান, ঘুরতে গিয়েছেন বলে কখনওই উপবাস ভাঙবেন না। তিনি তখনও এ-ও বলেছিলেন, ‘‘আমরা একটি জলপ্রপাত দেখতে জঙ্গলে এসেছি। পাহাড়ে চড়তে হচ্ছে। পরে কথা বলব।’’ আচমকাই ফোন কেটে যায়। আর ফোন আসেনি।