গাঁধী ও নেহরু। ছবি- স্মিথের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
ভালবাসা কাকে বলে, এই একুশ শতকে তা বোঝাতে গিয়ে হলিউডের এক মেগাস্টার উইল স্মিথ অনেকের সঙ্গে বেছে নিলেন গত শতাব্দীর মাঝ পর্বের দুই ভারতীয় চরিত্রকে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ও মহাত্মা গাঁধী। দু’জনের সম্পর্কের রসায়নকেই তুলে ধরলেন ভালবাসার একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে।
তাঁদের বহু রং মিশে থাকা ভালবাসার সাদা, কালো ছবিই স্মিথ ব্যবহার করেছেন তাঁর ভিডিয়োয়। যেন বোঝাতে চেয়েছেন, স্বাভাবিক, স্বতঃপ্রণোদিত ভালবাসায় আলাদা ভাবে রং লাগানোর দরকার পড়ে না। রক্তের মতোই তা প্রবহমান। সেই প্রবাহের জন্য কিছু আরোপ করতে হয় না।
তাঁর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় ভালবাসার প্রতীক হিসেবে স্মিথ তুলে ধরেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী মাদার টেরেসাকেও। ভালবাসাকে যিনি বাস্তবের ভিত্তিভূমিতে দাঁড় করিয়েছিলেন, এই ভারতেই।
ভিডিয়োয় কী কী দেখিয়েছেন স্মিথ?
বাবা যেমন তাঁর ভালবাসা প্রকাশ করে ফেলেন সন্তানের পাশে দাঁড়িয়ে, তাকে বেড়ে, গড়ে উঠতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে, স্বামী বা প্রেমিক যেমন প্রায় মৃত্যুর মুখে দাঁড়ানো স্ত্রী বা প্রেমিককে চুম্বন করেন ভালবেসে, তাঁর ভিডিয়োয় স্মিথ তেমন ভাবেই তুলে ধরেছেন নেহরু ও গাঁধীর সম্পর্কের ভালবাসার রসায়নটিকে।
আরও পড়ুন- গাঁধীর কপালে ভবঘুরে তকমাও জুটেছিল
আরও পড়ুন- গাঁধীর চশমার পর জহরকোটকে নিজের জ্যাকেট বলছেন মোদী, দাবি কংগ্রেসের
‘দিস ইজ লভ’ (এটাই ভালবাসা) নামে সেই ভিডিয়ো সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন হলিউডের মেগাস্টার। ভালবাসা কাকে বলে, বোঝাতে।
কংগ্রেসের তরফে টুইট করে স্মিথের সেই ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘ভালবাসা বলতে উইল স্মিথ কী বোঝেন, ভিডিয়োয় মহাত্মা গাঁধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর ছবি দেখিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছেন।’’
গত ৭ ডিসেম্বর ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করে তাঁর ইনস্টাগ্রামে স্মিথ লিখেছিলেন, ‘‘কেউ এক জন আমাকে কোনও দিন প্রশ্ন করেছিলেন, ভালবাসা বলতে আমি কী বুঝি? তখন তাঁকে আমি ঠিক জবাবটা দিতে পারিনি। পরে বিষয়টা নিয়ে ভেবেছি।’’
ভালবাসছি মানে, সে ভাল হয়ে উঠুক, ভাল থাকুক: স্মিথ
ইনস্টাগ্রামে স্মিথ লিখেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, ভালবাসার মর্মার্থ হল, সাহায্য। প্রত্যেকেই কঠিন সময়ে রয়েছেন। ভালবাসাই পারে তাঁদের সংগ্রামের শরিক করে তুলতে। ভালবাসাই জীবন সংগ্রামের লড়াকুদের কষ্ট লাঘব করে দিতে পারে। কাউকে ভালবাসছি মানে, চাইছি আমার ভালবাসা পেয়ে সে ভাল হয়ে উঠুক, ভাল থাকুক।’’