(বাঁ দিকে) রাধিকা যাদব। (ডান দিকে) রাধিকার বাবা দীপক যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
রাধিকার ধারেকাছে তাঁকে যেন কোনও দিন দেখতে না পান। যদি আবার একই ঘটনা ঘটে, তা হলে গুলি করে দেবেন। হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব যে টেনিস অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ দিতেন, সেই অ্যাকাডেমিরই এক কোচকে এমনই হুমকি দিয়েছিলেন রাধিকার বাবা দীপক। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন রাধিকার এক বন্ধু।
ওই বন্ধুর দাবি, টেনিসে অ্যাকাডেমিতে বেশ কয়েক জন কোচ ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন রাধিকাকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। ওই অ্যাকাডেমিতে বেশির ভাগই পুরুষ কোচ ছিলেন। মহিলা কোচ বলতে রাধিকাই। পুরুষ কোচেরা রাধিকাকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। প্রথম প্রথম রাধিকা বিষয়টিকে নিজেই সামাল দিচ্ছিলেন। কিন্তু একজন কোচ তাঁকে প্রতিনিয়ত উত্ত্যক্ত করায় বাবাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন রাধিকা।
ওই বন্ধুর আরও দাবি, এক দিন সকালে রাধিকার বাবা অ্যাকাডেমিতে আসেন। তার পর ওই ব্যক্তিকে ধমকে বলেন, ‘‘আর কোনও দিন যদি রাধিকার ধারেকাছে ঘেঁষতে দেখি, তা হলে গুলি করে দেব।’’ সেই বন্ধুই রাধিকা খুনে দীপকের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পাশাপাশি প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, যে ব্যক্তি নিজের কন্যার সুরক্ষার জন্য এত কিছু করতে পারেন, সেই ব্যক্তি কী ভাবে এ কাজ করলেন? ওই বন্ধুর দাবি, বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাবাকেই ভালবাসতেন রাধিকা। সবসময় বন্ধুদের কাছে বলতেন, ‘‘আমার কেরিয়ার তৈরি করার জন্য বাবা যা খরচ করেন, তা বিফলে যেতে দেব না।’’
বর্তমানে তদন্তকারীরা রাধিকার ফোনের বিষয়টিতেই বেশি নজর দিচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর ফোনের যে সব তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাধিকার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না, তা-ও দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই নিজের বাড়িতে খুন হন রাধিকা। তাঁকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বাবা দীপকের বিরুদ্ধে। কন্যাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।