(বাঁ দিকে) প্রশান্ত কিশোর এবং তেজস্বী যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের পর এই প্রথম মুখ খুলল আরজেডি। লালুপ্রসাদ-তেজস্বী যাদবের দলের তরফে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে বলা হয়েছে, উত্থান-পতন অনিবার্য একটি বিষয়। দল হিসাবে তারা গরিবদের জন্য সোচ্চার হবে বলে জানানো হয়েছে ওই পোস্টে। শনিবার শোচনীয় ফলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (যিনি পিকে নামেই সমধিক পরিচিত)-এর দল জন সুরাজও। তাদের বক্তব্য, ভোটের ফলে হতাশ হলেও হতোদ্যম হবে না তারা।
পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৫ আসনে জিতে রাজ্যের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল আরজেডি। এ বার তাদের আসনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। রাজ্যের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৪৩টিতে লড়ে তারা জয়ী হয়েছে মাত্র ২৫টি আসনে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ফলাফল তেজস্বীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই আবহে শনিবার দুপুর ১টা ৮ মিনিটে সমাজমাধ্যমে আরজেডি একটি পোস্ট করে। সেই পোস্টে লেখা হয়েছে, “মানুষের সেবা করা একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া। এখানে উত্থান-পতনকে এড়ানো যায় না। পরাজয়ে দুঃখ নেই আবার বিজয়েও ঔদ্ধত্য নেই।” একই সঙ্গে সেখানে লেখা হয়েছে, “রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) গরিবের দল। গরিবের জন্য তারা সব সময় সোচ্চার হবেই।”
অন্য দিকে, ভোটকুশলী হিসাবে পিকে-র বহু রাজনৈতিক পূর্বানুমান অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলেও বিহার তাঁকে শূন্য হাতেই ফিরিয়েছে। ভোটের আগে-পরে নানা কারণে বার বার সংবাদ শিরোনামে থাকলেও পিকে-র দল একটি আসনেও জিততে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জন সুরাজ পার্টির তরফ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। দলের জাতীয় সভাপতি উদয় সিংহ ওই সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ভোটের ফলাফলে আমরা হতাশ হলেও হতোদ্যম নই। আমরা কোনও আসন পাইনি ঠিকই, তবে আমরা শাসক এনডিএ-র বিরোধিতা করে যাব।” দলের শোচনীয় ফলের কারণ ব্যাখ্যা করে পিকে-র দলের নেতা জানান, মুসলমান ভোটারদের কাছে টানা যায়নি। ফলাফলে মানুষের তীব্র আরজেডি-বিরোধিতার আভাস মিলেছে বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনা’-য় মহিলা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো ভোটের ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।