মুখ্যমন্ত্রী: ত্রিপুরা সচিবালয়ে মানিক সরকার। —নিজস্ব চিত্র ।
ভাষণ-বিতর্কে বিজেপি-কে বিঁধলেন মানিক সরকার। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আজ আনন্দবাজারকে বলেন, ‘‘ওঁরা ভেবেছিল, যা খুশি তা-ই করবে। সবাই সহ্য করবে। এখন প্রতিবাদ হওয়ায় নিজেদের বাঁচাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।’’
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মানিকবাবুর দেওয়া বক্তৃতা দূরদর্শন, আকাশবাণীতে সম্প্রচার না-করায় এখন দেশ জুড়ে প্রতিবাদের মুখে প্রসার ভারতী। এ দিন নয়াদিল্লিতে শরদ যাদবের ডাকা বিরোধী সম্মেলনে প্রসঙ্গটি তোলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও বন্ধু দেশের ভাবাবেগ আহত হলে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং দেশের সংহতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে এবং অশ্লীল বা অমর্যাদাকর কোনও কথা থাকলে তবেই ভাষণ সম্প্রচার করতে অস্বীকার করতে পারে প্রসার ভারতী। কিন্তু মানিকবাবুর বক্তৃতায় তেমন কিছু ছিল না বলেই সিপিএমের দাবি। যদিও কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্র দেশের সংহতি বিপন্ন হওয়ার কথাই তুলে ধরছে। আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কথায়, ‘‘কংগ্রেস জমানায় নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়নি।’’ প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার অবশ্য বলেছেন, ‘‘সাংবিধানিক দিক থেকে এমন ভাবে কোনও ভাষণ বন্ধ করা যায় না।’’
প্রসার ভারতী সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে ভাষণের কিছু শব্দ পাল্টাতে বলা হয়েছিল। মানিকবাবুর দাবি, আগরতলা দূরদর্শন কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে পুরো বক্তৃতাই বদলাতে বলা হয়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁরা কে যে আমাকে নির্দেশ দেবেন।’’
এর মধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মানিকবাবুর বিরুদ্ধে জারি ‘ফতোয়া’ নিয়ে শোরগোল পড়েছে। রিয়া রায় নামে এক জনের প্রোফাইল পোস্টে লেখা হয়েছে— ‘ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর মাথা কেটে আনলে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ইনাম মিলবে।’ ত্রিপুরা পুলিশের আইজি কে ডি শ্রিজেশ জানিয়েছেন, এ নিয়ে মামলা
রুজু হয়েছে।