Himani Narwal Murder

রাজনৈতিক না ব্যক্তিগত শত্রুতা? ‘ভারত জোড়ো’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হাঁটা হিমানীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য!

পুলিশ সূত্রে খবর, হিমানীর বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাইবার দল হিমানীর সমাজমাধ্যম ঘেঁটে দেখছে। তদন্তের জন্য পুলিশের পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪৮
Share:

(বাঁ দিকে) হিমানী নরওয়াল। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হিমানী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

রাজনৈতিক কারণে খুন না কি ব্যক্তিগত কারণ, হরিয়ানার কংগ্রেস নেত্রী হিমানী নরওয়ালের মৃত্যু নিয়ে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। শুক্রবার ট্রলিব্যাগে তরুণীর দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাঁর পরিচয় নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার পর পরই রাজ্য কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, যে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনি তাদের দলের এক নেত্রী। কিন্তু কারা তাঁকে খুন করল? কেনই বা খুন হতে হল, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

ট্রলিব্যাগ থেকে হিমানীর দলাপাকানো দেহ উদ্ধার হয়। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার আগে হিমানীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁর হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। গলায় স্কার্ফ জড়ানো ছিল হিমানীর। এটা থেকে পুলিশের সন্দেহ শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের পাঁচটি দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, হিমানীর বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য দিকে, পুলিশের সাইবার দল হিমানীর সমাজমাধ্যম ঘেঁটে দেখছে।

ঘটনাচক্রে, হিমানীর দাদারও রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে। শুধু তা-ই নয়, হিমানীর বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, হিমানী সোনিপতের বাসিন্দা। কিন্তু থাকতেন রোহতকে। যদিও পুলিশের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও রয়েছে বলে মনে করছে না তারা। তবে সমস্ত সম্ভবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

হিমানীর মা এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বিচার না পাওয়া পর্যন্ত মেয়ের শেষকৃত্য করব না।’’ তবে একটা পারিবারিক বিবাদ যে চলছিল সে কথা মেনে নিয়েছেন হিমানীর মা। তাঁর কথায়, ‘‘একটা পারিবারিক বিবাদ চলছিল। আমরা সব সময় ভয়ে থাকতাম। ২০১১ সালে আমার বড় ছেলে খুন হয়। তার সঠিক বিচার আজও পাইনি।’’ হিমানীর মায়ের দাবি, নির্বাচনের পর দল থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখা শুরু করেছিলেন তাঁর কন্যা। বাড়িতে জানিয়েছিলেন, দলের কাজ ছেড়ে চাকরি করবেন।

শুক্রবার ট্রলিব্যাগ থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হতেই কংগ্রেসের দাবি, মৃতা তাদের দলের এক জন সক্রিয় কর্মী। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ভরত ভূষণ দাবি করেন, ওই তরুণী তাঁদের দলের কর্মী। নাম হিমানী নরওয়াল। হরিয়ানায় কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় রাহুল গান্ধীর সঙ্গী ছিলেন তিনি। বিধায়কের আরও দাবি, ভূপেন্দ্র এবং দীপেন্দ্র হুডার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই তরুণী। হরিয়ানার প্রদেশ কংগ্রেসে সভাপতি ভূপেন্দ্র সিংহ হুডাও দাবি করেছেন, ওই তরুণীর নাম হিমানী নারওয়াল। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘হিমানী নরওয়াল নামে এক কংগ্রেস কর্মীকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায় এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement