লাড্ডু না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন প্রৌঢ়ের (বাঁ দিকে)। মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের পর মিষ্টি বিতরণ করা হচ্ছিল পঞ্চায়েতের অফিসে। সেখানে গ্রামবাসীদের অনেকেই হাজির হয়েছিলেন। সকলকে দুটো করে লাড্ডু দেওয়া হয়। কিন্তু তার মাঝেই এক ব্যক্তি অভিযোগ তুলেছেন, সকলকে দুটো করে লাড্ডু দেওয়া হলেও, তার বেলায় একটা লাড্ডু বরাদ্দ হল কেন? আর সেই গোসাতেই তিনি পঞ্চায়েত অফিস থেকে বেরিয়েই সোজা মুখ্যমন্ত্রীর হেল্পলাইনে ফোন করে সেখানে অভিযোগ জানান। এমন আজব ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড জেলার। জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলনের পর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে উপস্থিত ব্যক্তি এবং গ্রামবাসীদের লাড্ডু বিতরণ করা হচ্ছিল। লাইনে দাঁড়িয়ে সেই মিষ্টি নিচ্ছিলেন সকলে। যখন কমলেশ কুশওয়ার পালা আসে, তখন তাঁকে একটি লাড্ডু দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আর এখানেই তিনি বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। কমলেশের দাবি, তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, সকলকে দুটো করে লাড্ডু দেওয়া হল, অথচ তাঁকে কেন একটা দেওয়া হচ্ছে? তাঁকে দুটো লাড্ডু দিতে হবে বলে দাবি করেন। কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস তাঁকে দুটো লাড্ডু দিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ।
দুটো লাড্ডু না পেয়ে প্রচণ্ড গোসা হয়েছিল কমলেশের। অভিযোগ জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হেল্পলাইনে ফোন করেন তিনি। অভিযোগ জানান, পঞ্চায়েত অফিস সমান ভাবে মিষ্টি বিতরণ করছে না। এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। পঞ্চায়েত সচিব রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এক গ্রামবাসী পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন। সচিবের দাবি, ‘‘ওই গ্রামবাসী রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। পঞ্চায়েত অফিসের পিয়ন তাঁকে একটি লাড্ডু দেন। কিন্তু তাঁকে দুটো লাড্ডু দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন ওই গ্রামবাসী। তাঁকে দুটো লাড্ডু না দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছেন।’’
অভিযোগকারী গ্রামবাসী কমলেশের গোসা কমাতে শেষমেশ এক কেজি মিষ্টি কিনে আনা হয়। ওই গ্রামবাসীর কাছে পঞ্চায়েত অফিস ক্ষমা চেয়েছেও বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই প্রথম নয়, এর আগে ২০২০ সালেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। টিউবওয়েল খারাপ হয়ে যাওয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জনকল্যাণ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক গ্রামবাসী।