National News

লিস্টিং ছাড়াই অন্য মামলায় শুনানি, চিদম্বরমের ক্ষেত্রে কেন নয়? প্রশ্ন তুলেছিলেন সিব্বল

চিদম্বরমের আইনজীবী হিসেবে কপিল সিব্বলের আর্জি ছিল, শুনানি বা শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি রমানার যুক্তি ছিল, যে মামলা শুনানির জন্য লিস্টিংই হয়নি, সেই মামলায় কী ভাবে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত দেবেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৯ ১৭:৪৩
Share:

অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ

আদালতে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত (লিস্টিং) হয়নি। তাই চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদনের নিষ্পত্তি করেননি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এনভি রমানা। পাঠিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। কিন্তু এই বিচারপতি রমানার ক্ষেত্রেই এমন নজির রয়েছে, তালিকাভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও যিনি স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অন্য একটি মামলায়। তা-ও মাত্র চার দিন আগে। চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল শুনানিতে সেই বিষয়টি উল্লেখ করার পরও সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন বিচারপতি রমানা। আর তার পরেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।

Advertisement

মঙ্গলবার আইএনএক্স মিডিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগে অসঙ্গতির মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট পি চিদম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে। ওই দিনই রায় চ্যালেঞ্জ করে চিদম্বরমের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কপিল সিব্বল, অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির মতো কংগ্রেসের দুঁদে আইনজীবীরা। কিন্তু সেই দিন শুনানি হয়নি। বুধবার সেই মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতির পর সবচেয়ে প্রবীণ বিচারপতি রমানার এজলাসে। কিন্তু তিনি কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়েই সেই মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন।

চিদম্বরমের আইনজীবী হিসেবে কপিল সিব্বলের আর্জি ছিল, শুনানি বা শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি রমানার যুক্তি ছিল, যে মামলা শুনানির জন্য লিস্টিংই হয়নি, সেই মামলায় কী ভাবে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত দেবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: সহযোগিতা করছেন না, বলল সিবিআই ।। প্রমাণ নেই, ভিন্ন উদ্দেশ্যে গ্রেফতার: সিব্বল

আরও পডু়ন: দেশে আর গণতন্ত্র নেই, চিদম্বরমের গ্রেফতারির নিন্দা করে বললেন মমতা

এর পরই কপিল সিব্বল তুলে আনেন মাত্র চার দিন আগে ১৬ অগস্টের একটি মামলার উদাহরণ। ভূষণ স্টিলের প্রাক্তন চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার এবং ডিরেক্টর নিতিন জোহারির ওই মামলাও উঠেছিল বিচারপতি রমানার বেঞ্চেই। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে ভুয়ো নথি জমা দেওয়ার অভিযোগে জোহারিকে গ্রেফতার করেছিল সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এসএফআইও। সংস্থার আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, জামিন পেলে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন জোহারি। ওই দিনই ভূষণ স্টিলের ওই মামলাউঠেছিল বিচারপতি রমানার বেঞ্চে। তিনিইদিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

সেই মামলাও সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য লিস্টিং হয়নি। তবু সুপ্রিম কোর্টে শুনানি পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি রমানা।একই রকম মামলায় দু’রকম সিদ্ধান্ত কেন— এই প্রশ্ন তোলেন চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল। ওই মামলার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানান সিব্বল। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, ভূষণ স্টিলের ওই মামলা আলাদা। ওই মামলায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

আরও পডু়ন: পি চিদম্বরম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

চিদম্বরমের মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি রমানা। কিন্তু প্রধান বিচারপতি তখন অযোধ্যা মামলার শুনানিতে এজলাসে ছিলেন। ফলে বুধবারও শুনানি হয়নি। শুক্রবার নির্ধারিত হয়েছিল চিদম্বরমের সেই পিটিশনের শুনানি। কিন্তু তার আগেই তিনি গ্রেফতার হওয়ায় ওই মামলার আর কোনও যৌক্তিকতাই রইল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন