রাধিকা যাদব। ফাইল চিত্র।
পরিকল্পনা করেই মেয়েকে খুন করেছেন। পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবের বাবা দীপক। শুধু তা-ই নয়, এই কাজ যাতে বিনা বাধাতেই করতে পারেন, তার জন্য ছেলেকেও দুধ আনতে দোকানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তার পরই মেয়েকে গুলি করেন বলে দাবি দীপকের। কিন্তু এই ঘটনায় রাধিকার মায়ের ভূমিকা পুলিশকে ভাবাচ্ছে। মেয়ে খুন হয়ে গেলেন, অথচ তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতেন না, এমনকি কী ঘটছে তা-ও জানতে পারেননি! এখানেই তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ছে।
রাধিকার মা মঞ্জু যাদব পুলিশকে বয়ান দিতে অস্বীকার করেছেন। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁর জ্বর এসেছিল, ঘরে শুয়ে ছিলেন। তাই কিছুই দেখেননি। তদন্তকারীদের একটি সূত্র বলছে, বাড়ির দোতলায় রাধিকাকে গুলি করে খুন করা হয়। ঘটনাচক্রে, দোতলায় রাধিকা, তাঁর বাবা ছাড়াও তাঁর মা ছিলেন। বাড়িতে গুলি চলল। অথচ মঞ্জু কোনও আওয়াজ পেলেন না, বা কিছু জানতে পারলেন না! কেন?
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দীপক দাবি করেছেন, রাধিকাকে পরিকল্পনা করেই খুন করেছেন। তা হলে রাধিকার মা মঞ্জুও কি এই পরিকল্পনার কথা জানতেন? আর সে কারণেই কি কোনও কিছু গোপন করার চেষ্টায় বয়ান দিতে অস্বীকার করছেন? গুরুগ্রাম পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক (পিআরও) সন্দীপ কুমার বলেন, ‘‘দীপকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল মেয়েকে খুনের কথা তাঁর স্ত্রী জানতেন কি না। তবে দীপক এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেছেন। তবে মনে হচ্ছে, এই ঘটনা যে ঘটবে মঞ্জু যাদব কিছু একটা আঁচ পেয়েছিলেন।’’
রাধিকা খুনের ঘটনায় মঞ্জু যাদবের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তদন্তকারীদের একাংশের মতে, দীপক শুধু একা নন, এই ঘটনায় পরিবারের অন্য সদস্যেরাও জড়িত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাধিকাকে গুলি করে খুন করা হয়। খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বাবা দীপকের বিরুদ্ধে। তাঁকে এক দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এফআইআরে লেখা হয়েছিল, পিছন থেকে তিনটি গুলি করা হয়েছে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, রাধিকার বুকে চারটি গুলি করা হয়েছে।