কথায় বলে ছাগলে কী না খায়! কিন্তু হাতিও যে ওই কাণ্ড ঘটাবে, ভাবেননি শোণিতপুরের জঙ্গল-ঘেঁষা গ্রামের ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র দুগ্গর। রবিবার রাতে বুনো হাতির দল তাঁর দোকানের ক্যাশবাক্স ভেঙে খেল নগদ টাকার বান্ডিল!
অসমের চারিদুয়ার অরণ্যের পাশে মিসামারি, রঙাপাড়া, বালিপাড়া হাতিদের চারণভূমি। আশপাশে প্রচুর চা বাগান। কয়েক দিন ধরে রঙাপাড়ার তারাজুলি চা বাগানের আশপাশে ঘুরছিল বুনো হাতি পাল। ব্যবসায়ীরা ভয়ে সন্ধে নামতেই দোকান বন্ধ করছিলেন। গত কালও রাজেন্দ্রবাবু তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। তাঁর দাবি, দোকানের ক্যাশবাক্সে ১০ ও ১০০-র নোট মিলিয়ে ছিল লক্ষাধিক টাকা।
রাজেন্দ্রবাবু জানান, রাতে খবর মেলে, হাতিরা দোকান ভাঙছে। গিয়ে দেখেন, হাতির পায়ের চাপে ভেঙেছে ক্যাশবাক্স। বলেন, ‘‘দোকানে মজুত চাল, আলু খেয়ে হাতিরা চলে যাবে ভেবেছিলাম। কিন্তু চোখের সামনে ওরা সব টাকা খেয়ে ফেলল!’’ ভোরের আলো ফুটলে তছনছ হওয়া দোকানে ঢুকে তাঁর মাথায় হাত। তিনি দেখেন, একশো টাকার পুরো বান্ডিল খেয়ে ফেলেছে হাতিরা। তবে ১০ টাকার বান্ডিলে অনেক নোট থাকায় সম্ভবত সেটি হাতির গলায় আটকে গিয়েছিল। তা বমি করে দেয় হাতিটি।
একাংশের বক্তব্য, হাতির পেটে টাকা হজম না হলে তা মলের সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে। হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বড়ুয়া বলেন, ‘‘টাকা হজম হোক বা না হোক নষ্ট তো হবেই। তাই তা ফেরতের আশায় জঙ্গলে হাতির পিছনে ধাওয়া না করাই ভাল।’’