বিধায়কদের সামনেই কান্না। মুখ ঢাকলেন শশিকলা। ছবি: সংগৃহীত।
এআইএডিএমকে থেকে তাঁকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়ে জানালেন শশিকলা। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি অধরা থাকলেও দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়েই থাকতে চান শশী।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পর এই প্রথম জনসমক্ষে এলেন শশিকলা নটরাজন। গত কাল গভীর রাতে নিজের শিবিরের বিধায়কদের সঙ্গে কথাবার্তার মাঝপথেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। তবে নিজেকে সামলে নিয়ে ইঙ্গিত দিলেন, কারাবাস হলেও দলের রাশ নিজের হাতেই রাখতে আগ্রহী তিনি। দৃশ্যতই বিব্রত শশী বলেন, “এআইএডিএমকে থেকে কোনও শক্তিই আমাকে আলাদা করতে পারবে না। যা-ই ঘটুক না কেন, আমি সব সময় দলের কথাই চিন্তা করব।”
গভীর রাতে নিজের বাড়ির পথে শশিকলা। ছবি: সংগৃহীত।
গত কাল সকালে দুর্নীতির অভিযোগে চার বছরের জেলযাত্রা ও ১০ কোটির জরিমানার রায় শুনলেও দিনভর শশীকে দেখা যায়নি। মহাবলীপুরমের গোল্ডেন বে রিসর্টে রাজ্যের বিধায়কদের ‘পাহারা’য় কাটিয়েছেন তিনি। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়কদের কার্যত বন্দি করে রেখেছেন এমন অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও টলেননি শশী। গত কাল গভীর রাতে ওই পাঁচতারা রিসর্ট ছেড়ে পোয়েস গার্ডেনের বাড়িতে ফেরেন তিনি। এর পর তাঁর বিশ্বস্ত বিধায়কদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন
কুর্সি নয় কারাবাস, শশির স্বপ্নে জল ঢাললেন দুই বাঙালি
বিধায়ক-বন্দির দুর্গে এখন ভাঙা হাট
কারাবাস হলেও দলের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ পড়বে না জানালেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কবে আত্মসর্মপণ করবেন সে বিষয়ে শশি নিজে কোনও ইঙ্গিত দেননি। তবে বুধবার তাঁর আত্মসমর্পণ করার সম্ভাবনা প্রবল।