ছবি: সংগৃহীত।
রাষ্ট্রপতি-সহ সমস্ত মন্ত্রীরা এ বার থেকে কি কেবলমাত্র হিন্দিতেই বক্তৃতা করবেন?
সংসদের অনুমোদন মিললেই অবশ্য এমনটা বাস্তবায়িত হতেই পারে। সংসদীয় কমিটির বেশ কয়েকটি প্রস্তাবে সম্প্রতি সম্মতি জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যে একটিতে ওই সুপারিশটি রয়েছে।
সরকারি কাজে হিন্দি ভাষার ব্যবহারে উৎসাহ দিতেই এ ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে ধারণা অনেকের। ২০১১-তে পি চিদাম্বরমের নেতৃত্বাধীন একটি সংসদীয় কমিটি হিন্দি নিয়ে বিভিন্ন সুপারিশ করেছিল। সরকারি কাজে হিন্দি ভাষার কদর কম তো বটেই, তার যথেচ্ছ অবহেলাও হচ্ছে বলে মত ওই কমিটির।
আরও পড়ুন
একরত্তি মেয়ের কাছে থমকে গেলেন মোদী
কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, “রাষ্ট্রপতি-সহ কেন্দ্র-রাজ্যের মন্ত্রীদের মতো বিশিষ্টজনেরা বিশেষ করে যাঁরা হিন্দিতে কথা বলতে বা পড়তে পারেন তাঁদের কেবলমাত্র সেই ভাষাতেই বক্তৃতা করতে বা বিবৃতি দিতে অনুরোধ করা যেতে পারে।” মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো রাজ্যে সরকারি কাজকর্মে হিন্দির বহুল প্রচলন থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নথিপত্র, বিবৃতি বা ভাষণ সাধারণত ইংরেজি মাধ্যমেই করা হয়।
বক্তৃতা বা সরকারি কাজকর্ম ছাড়াও দেশের সমস্ত উড়ান সংস্থার টিকিটে হিন্দি ব্যবহারের সুপারিশও ওই প্রস্তাবনায় ছিল। তবে রাষ্ট্রপতি শুধুমাত্র এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিটের ক্ষেত্রেই ওই সুপারিশ মেনে নিয়েছেন। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না মিললেও সংস্থার উড়ানে এ বার থেকে হিন্দি বই বা ম্যাগাজিনের সংখ্যা যে বাড়তে চলেছে তা জানা গিয়েছে। হিন্দি নিয়ে বেশ কয়েকটি সুপারিশ খারিজও করেছেন রাষ্ট্রপতি। তার মধ্যে ছিল, আমলাদের হিন্দিতে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি বাধ্যতামূলক করা।