Murder Witness Shot Dead

‘গ্যাংস অব প্রয়াগরাজ’! বিধায়ক খুনের সাক্ষীকে গুলি করে খুন, ৪৭ সেকেন্ডের ‘অপারেশন’

২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:৩১
Share:

বিধায়ক খুনের সাক্ষীর উপর হামলার সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ছবি: সংগৃহীত।

ঠিক ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’ ছবির মতোই দৃশ্য দেখা গেল প্রয়াগরাজের রাস্তায়।

Advertisement

সাদা রঙের এসইউভি বাড়ির সামনে থামতেই, দরজা খুলে নেমে এসেছিলেন উমেশ পাল। আর ঠিক তখনই পিছন থেকে আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালালেন এক ব্যক্তি। গুলি লাগার পর পালিয়ে পাশের গলিতে ঢুকে পড়েছিলেন উমেশ। পিছু ধাওয়া করতেই উমেশের এক দেহরক্ষী হামলাকারীকে ধরার চেষ্টা করেন। তাঁকেও গুলি করা হয়। দ্বিতীয় দেহরক্ষীকেও গুলি করেন হামলাকারী। তাঁরা রাস্তায় লুটিয়ে পড়তেই উমেশের পিছু ধাওয়া করে গুলি করেন আততায়ী। তার পর তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি দুষ্কৃতীরা পর পর কয়েকটি বোমা ছুড়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালান। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে।

২০০৫ সালে উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) বিধায়ক রাজু পাল খুন হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদের বিরুদ্ধে। সেই মামলার সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। তাঁর জীবনহানি হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসন থেকে দু’জন পুলিশকর্মীকে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার একটি সাদা রঙের এসইউভিতে বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ান উমেশ। রাস্তার ভিড়ের মধ্যে মিশে ছিল হামলাকারীরা। উমেশ গাড়ি থেকে নামতেই এক দুষ্কৃতী পিছন থেকে এসে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দৌড়ে একটি গলির মধ্যে ঢুকে যান উমেশ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দুই দেহরক্ষীর উপর গুলি চালিয়ে উমেশকে পর পর গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পই বোমা ছুড়তে ছুড়তে এলাকা ছাড়েন দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা যখন ঘটছিল, নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পথচারীরা এ দিক ও দিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন। দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়লে স্থানীয়রা উমেশ এবং তাঁর দুই দেহরক্ষীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা উমেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুই দেহরক্ষীর মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। প্রয়াগরাজের পুলিশ প্রধান রমিত শর্মা জানিয়েছেন, একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। কারা এই হামলা চালাল, তা খতিয়ে দেখার জন্য আটটি দল গঠন করা হয়েছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন