মহিলাকে পুড়িয়ে খুন বিহারে

চেয়ারে বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় এক মহিলা ইঞ্জিনিয়ারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বিহারের মুজফ্ফরপুরের আহিয়াপুর থানার কোলহুয়া বজরঙ বিহার কলোনিতে সোমবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৬
Share:

চেয়ারে বেঁধে জীবন্ত অবস্থায় এক মহিলা ইঞ্জিনিয়ারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। বিহারের মুজফ্ফরপুরের আহিয়াপুর থানার কোলহুয়া বজরঙ বিহার কলোনিতে সোমবার ভোর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। সরিতা দেবী (৩৫) নামে ওই মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হত্যার পিছনে তাঁর তিক্ত দাম্পত্য সম্পর্ক, নাকি একশো দিনের কাজের প্রকল্পের কোনও দুর্নীতির ‘নায়করা’ রয়েছেন তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, ওই মহিলা ইঞ্জিনিয়ার সরকারি এই প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে অফিস ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন সরিতাদেবী (৩৫)। সেখান থেকেই তিনি কাজ করতেন। সেই ঘর থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়ার পরে পুলিশ বাড়ির মালিক বিজয় গুপ্তকে প্রথমে আটক করে জেরা করার পর তাঁকে গ্রেফতার করেছে। বিজয় গুপ্তই পুলিশকে সরিতাদেবীর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর প্রথম দেন। তাঁকে আরও জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না বলে তিনি ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকতেন। তবে এ দিন তাঁর স্বামী বিজয়কুমার নায়েকই থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। গোটা ঘটনাটি নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন মুজফ্ফরপুরের এসএসপি বিবেক কুমার। ডিএসপি (সদর) আশিস আনন্দের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন ছেলেকে বাপের বাড়ি বেগুসরাইয়ে পাঠিয়ে দেন সরিতা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেরোসিনের বোতল-সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেছে। ফরেনসিক টিমও নমুনা সংগ্রহ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিবাদের জেরেই দুষ্কৃতীরা এই মহিলা ইঞ্জিনিয়ারকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাঁরা অবশ্য সব দিক খতিয়ে দেখছে বলে এসএসপি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন