সিসিটিভিতে ধরা পড়া সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু মহিলারাই এই দলে ছিলেন। বেছে বেছে নিশানাও করা হত মহিলাদের। তার পর ভিড়ের মধ্যে সুকৌশলে করা হত হাতসাফাই! কখনও মোবাইল, টাকাপয়সা, ঘড়ি, কখনও আবার সোনার গহনা— কিছুই বাদ যেত না। শুধু দিল্লি নয়, গুজরাতেও সক্রিয় ছিল এই ‘মহিলা গ্যাং’। এ বার সেই চক্রের পাঁচ সদস্যার নাগাল পেল দিল্লি পুলিশ। উদ্ধার হল প্রায় এক কোটি টাকার খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র।
বুধবার গুজরাত ও দিল্লির বিভিন্ন এলাকা জুড়ে সক্রিয় ওই মহিলা গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে এক জনকে আবার বেশ কিছু দিন ধরে খুঁজছিল পুলিশ। এর আগে ১৩টি ফৌজদারি মামলায় নাম জড়িয়েছে তাঁর। অভিযোগ, মূলত জনাকীর্ণ এলাকায় লিফ্টে কিংবা চলমান সিঁড়ি (এসক্যালেটর)-র কাছে ওত পেতে থাকত এই চক্র। বেছে বেছে নারী যাত্রীদের নিশানা করা হত। তার পর সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেওয়া হত গহনা, মোবাইল কিংবা টাকা।
রেলের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) কেপিএস মলহোত্র বলেন, ‘‘একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে ওই পাঁচ জনের খোঁজ মিলেছে। ঘটনায় দু’টি আলাদা আলাদা চক্র জড়িত। তবে দু’টি চক্র হুবহু একই পদ্ধতিতে কাজ করত। লিফ্টে বা এসক্যালেটরে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মহিলাদের কাছ থেকে গহনা, ঘড়ি এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিত তারা।’’
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দিল্লির সরাই রোহিল্লা এবং নয়াদিল্লি স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। দেখা যায়, মূল্যবান জিনিসপত্র রয়েছে, এমন মহিলা যাত্রীদের নিশানা করে তাঁদের সঙ্গে সেঁটে থাকছেন কিছু মহিলা। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সমস্ত জিনিসপত্রও। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্রের বাজারদর এক কোটি টাকারও বেশি। আরও কে কে ওই চক্রে জড়িত, জানতে তদন্ত চলছে।