ছবি: সংগৃহীত।
প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে কুড়ুল দিয়ে কোপের পর কোপ মেরে যাচ্ছেন এক যুবক। প্রথমে ঘাড়ে কোপ, তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের বুকে-পিঠে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হল! শুধু তাই নয়, মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে ভিডিও তোলেন ওই যুবক। ভয়ানক এই ঘটনাটি ঘটেছে লুধিয়ানা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পঞ্জাবের কিলা রাইপুর গ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মণীন্দ্র সিংহ। মৃত ওই মহিলার নাম সর্বজিত্ কউর (৪০)। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাল্কা সবুজ রঙের একটি টি-শার্ট পরা যুবক এক মহিলাকে কুড়ুল দিয়ে খুন করার পর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। মহিলাকে খুন করার পরই পুলিশের কন্ট্রোলরুমে ফোন করে মণীন্দ্রই বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে।
আরও খবর
কী বললেন পরিণীতি? যে তাঁকে সরাসরি ‘মিথ্যেবাদী’ তকমা দেওয়া হল
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় মণীন্দ্র জানিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন প্রায়ই। রবিবার সকালে সর্বজিত্ বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়ই তাঁর উপর চড়াও হন মণীন্দ্র। কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন তাঁকে। তবে ঘটনার সময় কেউ সেখানে ছিল কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয় বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠছে, দিনের আলোয় এ ভাবে এক জনকে কুপিয়ে খুন করা হল, আর কেউ বাঁচাতে পর্যন্ত এলেন না? পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, কিলা রাইপুর গ্রামেরই এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মণীন্দ্রর। আর সর্বজিত্ বিষয়টি জানতেন। সে কারণেই তার উপর আক্রোশ ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। মণীন্দ্র অবশ্য দাবি করেছে, সর্বজিত্ প্রায়ই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন। সে কারণেই তাঁকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।