কর্নাটকে উদ্ধার হল দেহাংশ। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকের ১০টি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীর টুকরো টুকরো দেহাংশ উদ্ধারকে ঘিরে ঘনিয়ে উঠেছিল রহস্য। এ বার ট্যাটুর সূত্র ধরে মৃতার পরিচয় জানল পুলিশ। যদিও অপরাধীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। রহস্যের কিনারা করতে হন্যে হয়ে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার হাত এবং মুখে উল্কি অর্থাৎ ‘ট্যাটু’ ছিল। সেই ট্যাটুর সূত্র ধরে মৃতার পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম লক্ষ্মীদেবম্মা (৪২)। তিনি তুমাকুরু তালুকের বেলাভির বাসিন্দা ছিলেন। গত ৪ অগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন লক্ষ্মীদেবম্মা। ৩ অগস্ট মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে উর্দিগেরে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁর স্বামী বাসবরাজু এ নিয়ে বেলাভি থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, দু’দিন আগে তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত অপরাধীর খোঁজ মেলেনি। খুনির খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত।
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। ঘড়িতে তখন সকাল। কর্নাটকের এক গ্রামের বাসিন্দারা হঠাৎ দেখেন, রাস্তা দিয়ে একটি পচাগলা কাটা হাত মুখে করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটি কুকুর! খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কিছু ক্ষণ পর সেখান থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে আর একটি হাত পাওয়া যায়। তার পর একে একে কর্নাটকের তুমাকুরু জেলার ১০টি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে মেলে এক মহিলার অন্য দেহাংশ। লিঙ্গাপুরা রোড ব্রিজের কাছে অন্ত্রের কিছু অংশ, বেনডোন নার্সারির কাছে পেট এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গ এবং জোনিগারহাল্লির কাছে একটি পা এবং একটি রক্তমাখা ব্যাগ উদ্ধার হয়। সিদ্দারবেত্তা এবং নেগালালের মাঝামাঝি রাস্তায় দু’টি ব্যাগের ভিতর আরও দেহাংশ খুঁজে পায় পুলিশ। তবে মৃতার মাথাটি পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেশ শুক্রবার বিকালে সিদ্দারবেত্তার কাছে নিহতের মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। ক্রমে উল্কির সূত্র ধরে জানা যায় নিহতের পরিচয়।