National news

ফের বর্ষবরণের রাতে গণশ্লীলতাহানি বেঙ্গালুরুতে!

পুলিশের দাবি, বর্ষবরণের রাতের সিসিটিভি ফুটেজে গণশ্লীলতাহানির কোনও ঘটনা ধরা পড়েনি। তবে ফুটেজে এক মহিলাকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ২০:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

বেঙ্গালুরুতে ২০১৬ বর্ষবরণের রাতের গণশ্লীলতাহানির পুনরাবৃত্তি হল ২০১৭-তেও! ওই রাতে শ্লীলতাহানির শিকার এক মহিলার স্বামী ইন্ডিয়া টুডে-কে সোমবার এমন অবিযোগ করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।

Advertisement

পুলিশের দাবি, বর্ষবরণের রাতের সিসিটিভি ফুটেজে গণশ্লীলতাহানির কোনও ঘটনা ধরা পড়েনি। তবে ফুটেজে এক মহিলাকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। ওই রাতে যে গণশ্লীলতাহানি হয়েছিল, ওই মহিলার স্বামীই তা জানিয়েছেন।

বর্ষবরণের জন্য প্রতি বছরের মতো এ বারও বেঙ্গালুরুর অভিজাত এলাকা এমজি রোড এবং ব্রিগেড রোডে প্রচুর ভিড় হয়। সেই ভিড় সামলাতে মোতায়েন ছিলেন কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। তার ভিতর মহিলা পুলিশকর্মীরাও ছিলেন। ওই ব্যক্তির অভিযোগ, রাস্তায় উপচে পড়া ভিড় সামলাতে একেবারেই ব্যর্থ হয় পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: বাবরির প্রায়শ্চিত্ত! আমির হয়ে মসজিদ সারাচ্ছেন বলবীর

তিনি জানান, তখন কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৮-কে বরণ করে নেওয়ার জন্য সকলেই প্রস্তুত। আর ঠিক সে সময়ই ওই থিকথিকে ভিড়ের মধ্যে মহিলাদের গায়ের উপর জোর করে পড়তে শুরু করে একদল যুবক। ভিড়ের সুযোগে একাধিক মহিলাকে কটূক্তি এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। মহিলাদের জামাকাপড়ের ভিতরেও হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছিল তারা। ওই দিন ব্রিগেড রোডে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক ওই ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রীরও একই রকম খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে, অভিযোগ। পরে কোনওক্রমে সেখান থেকে স্ত্রীকে নিয়ে সুরক্ষিত জায়গায় চলে আসেন তিনি। খুব তাড়াতাড়ি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

গত বছরও ৩১ ডিসেম্বর রাতে বেঙ্গালুরুর এমজি রোড এবং ব্রিগেড রোডে জমায়েত হওয়া মহিলারা একদল দুষ্কৃতীর শ্লীলতাহানির শিকার হন। ভিড়ের মধ্য থেকেই পুলিশের সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন মহিলারা। তবে সে বারও শ্লীলতাহানির সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজেও কিছু পাওয়া যায়নি বলে প্রথমে দাবি করেছিল পুলিশ। পরে দেশ জুড়ে সমালোচিত হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর এমজি রোড এবং ব্রিগেড রোডে আরও আঁটোসাটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, দাবি করেছিলেন পুলিশ কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন