নীতীশের মতিগতি বোঝা দায়!
গুজরাত বিধানসভা ভোটে নীতীশের নেতৃত্বে জেডিইউ বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে নয়, একাই লড়বে ঘোষণা করার পর থেকে এই মন্তব্যই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। নীতীশের এই কৌশল কি কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোটের ভোট কেটে নরেন্দ্র মোদীর দলকে সুবিধা করে দেওয়া, নাকি দলেরই বিদ্রোহী নেতা শরদ যাদবের নেতৃত্বাধীন অংশকে শায়েস্তা করা, সেটাই প্রশ্ন। বিরোধীদের সিংহ ভাগই মনে করছেন, নীতীশের মূল লক্ষ্য গুজরাতে বিরোধী ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়া।
ডিসেম্বরে ভোট গুজরাতে। সেখানে জেডিইউ ৪-৫টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। তিনি জানিয়েছেন, গুজরাতে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে ভোটে লড়বেন না তাঁরা। ত্যাগী জানান, এনডিএ জোটে থাকাকালীন জেডিইউ আগেও গুজরাতে একাই লড়েছিল। যদিও রাজনৈতিক শিবিরে কানাঘুষো, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা এবং রাহুল গাঁধীর হাওয়ায় গুজরাতে প্যাঁচে পড়ে যাওয়া বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই সেখানে একা লড়বে জেডিইউ।
বিহারে গত বিধানসভা ভোটে আরজেডি ও কংগ্রেসের হাত ধরে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই ‘পুরনো বন্ধু’ বিজেপির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন নীতীশ। এবং শেষ পর্যন্ত শরদ যাদব-সহ একাধিক নেতার আপত্তি উপেক্ষা করেই লালু-কংগ্রেসকে ত্যাগ করে বিজেপির সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছেন। এই ঘটনায় নীতীশের দল কার্যত দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। দলের রাশ হাতে নিতে শরদ যাদবরা এখন নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আর তাতে প্যাঁচে পড়েছেন নীতীশ।
গুজরাতে জেডিইউয়ের একমাত্র প্রতিনিধি অমরসিন ছোটুভাই ভাসভা। গত রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসের আহমেদ পটেলকে ভোট দেওয়ায় ভাসভা এবং গুজরাতে দলের সাধারণ সম্পাদক অরুণ শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করে নীতীশ-গোষ্ঠী। ওই দু’জন এখন শরদ-গোষ্ঠীতে। ছোটুভাই ঝাগাদিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক। ওই বিধানসভা এলাকায় বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বহু মানুষ থাকেন। একক ভাবে লড়লে নীতীশ-গোষ্ঠী তাতে ভাগ বসাতে পারবে বলে মনে করছেন দলের নেতারা। তাতে সুবিধা পাবে বিজেপিই।