ওজন কমার পর ডাক্তার প্রদীপ চৌবের সঙ্গে মিহির। ছবি প্রদীপ চৌবের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
অস্ত্রোপচারের পর ১০০ কেজি ওজন কমল বিশ্বের সবথেকে ওজনদার কিশোরের। দিল্লির বাসিন্দা ১৪ বছরের কিশোর মিহির জৈনের ওজন কমে হয়েছে ১৩৭ কেজি। বিপুল ওজন কমায় স্বাভাবিকভাবে চলাফেরায় স্বচ্ছন্দ বোধ করছে মিহির। আরও ৫০ কেজি ওজন কমানোর ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।
বিপুল ওজন হওয়ায় একদিকে যেমন চলাফেরা করতে অস্বস্তি বোধ করত মিহির। পাশাপাশি তাঁর শরীরে বাসা বাঁধছিল বিভিন্ন রোগ। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ডায়াবেটিসের সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাঁর শরীরে।
তাই তাঁর বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওজন কমানো। সেজন্যই দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের ডাক্তার প্রদীপ চৌবে গ্যাস্ট্রিক বাইপাস সার্জারি করেন। সঙ্গে নিয়মে বাঁধা খাদ্যতালিকা। শরীরে পেশিতে জোর বাড়ানোর জন্য মিহিরকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপিও করতে হত।
আরও পড়ুন: ভারতীয় নৌসেনার এই যুদ্ধজাহাজ কেন ডুবিয়ে দেওয়া হল জানেন?
১০০ কেজি ওজন কমিয়ে মিহির এখন বেশ স্বচ্ছন্দে আছে। আগে বিছানা থেকে উঠতেই পারত না সে। এখন দিল্লির উত্তমনগরে বাড়ির সামনে নিয়মিত হাঁটাহাটি করার পাশাপাশি ছোট বোন নন্দিনীর সঙ্গে ব্যা়ডমিন্টনও খেলে সে। তবে খাটে বসে ভিডিয়ো গেম খেলা তাঁর বন্ধ হয়েছে। ওজন কমায় এখন সে পছন্দের সুপারহিরোর টি-শার্ট পরতে পারবে। সে জানিয়েছে,‘‘বেশি ওজনের জন্য আমার সাইজের পছন্দের টি-শার্টের পেতেও সমস্যা হত।’’
পুরো জৈন পরিবারই ওবেসিটি বা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে। মিহিরের বয়স যখন সাত, তখন শারীরিক সমস্যার জন্য তাকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। অবশ্য তাকে পড়ানোর জন্য শিক্ষকরা আসতেন বাড়িতে। কিন্তু ওজন কমলেও স্কুলে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয় মিহির। সে চায় অনলাইনে প্রযুক্তি বিষয়ক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে। এ ব্যাপারে সে জানিয়েছে, ‘‘আমি কোডিং ল্যাঙগুয়েজ শিখতে চাই। তারপর চাকরি খুঁজব বা নিজের ব্যবসা শুরু করব।’’
অস্ত্রোপচারের আগে হাসপাতালে মিহির। ছবি ক্লাউড মিডিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে।
আরও পড়ুন: ওয়েইসিকে ছাড়লেই সমর্থন, ভোটগণনার আগেই কেসিআর-কে প্রস্তাব বিজেপির
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)