জেটলির সুরেই পাল্টা যশবন্তের

অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ তুলে বুধবার যে বোমাটা ফাটিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা, বৃহস্পতিবার সেই বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে ‘ঠাট্টা’র সুরে ব্যক্তিগত আক্রমণে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আজ সেই ভাষাতেই জবাব ফেরালেন যশবন্ত। গত কাল যশবন্তকে ‘আশি বছরের চাকরিপ্রার্থী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন জেটলি। এর পাল্টা দিতে আজ যশবন্ত বলেন, তিনি চাকরিপ্রার্থী হলে অর্থ মন্ত্রকে জেটলি থাকতেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

প্রাক্তন আর বর্তমান অর্থমন্ত্রীর কাজিয়া আরও তীব্র করে পাল্টা শোনানোর পালা জারি রইল শুক্রবারও। অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ তুলে বুধবার যে বোমাটা ফাটিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হা, বৃহস্পতিবার সেই বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে ‘ঠাট্টা’র সুরে ব্যক্তিগত আক্রমণে গিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আজ সেই ভাষাতেই জবাব ফেরালেন যশবন্ত।

Advertisement

গত কাল যশবন্তকে ‘আশি বছরের চাকরিপ্রার্থী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন জেটলি। এর পাল্টা দিতে আজ যশবন্ত বলেন, তিনি চাকরিপ্রার্থী হলে অর্থ মন্ত্রকে জেটলি থাকতেন না।

শুধু তাই নয়, অনেকের দাবি ছিল, যশবন্তের ছেলে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিন্‌হাকে দিয়ে তাঁর বাবার অভিযোগের পাল্টা নিবন্ধ লিখিয়ে ‘বাপ-বেটা’র ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ এক দিকে জয়ন্তর দাবি, কোনও চাপে পড়ে নয়, নিজের ইচ্ছেতেই বাবার মতের প্রতি নিজের অসম্মতির কথা জানিয়েছেন। অন্য দিকে, যশবন্তের মত, রাষ্ট্রহিতের সামনে বাকি সমস্ত বিষয় ছোট। তাতে ছেলের রাজনৈতিক জীবনে আঁচ পড়লেও ক্ষতি নেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: স্টেশনের ব্রিজে পিষে মৃত বাইশ

গত কাল জেটলি বলেছিলেন, অতীতে লালকৃষ্ণ আডবাণীর দেওয়া পরামর্শ মেনে তিনি ব্যক্তি নয়, নীতি নিয়েই কথা বলতে চান। আজ যশবন্তের কটাক্ষ, আডবাণীর পরামর্শ গ্রহণ করেননি জেটলি। এর পরেই জেটলির প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ শানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘অবসর নেওয়ার ১২ বছর আগে আইএএস-এর চাকরি ছেড়ে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে রাজনীতিতে এসেছি। এসেই লোকসভা কেন্দ্রে লড়েছি। ২৫ বছর অপেক্ষা করিনি। যাঁরা লোকসভা ভোটের মুখোমুখি হননি, যাঁদের সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ নেই, তাঁরা আমাকে আক্রমণ করছেন!’’ প্রসঙ্গত, জেটলি বরাবরই রাজ্যসভার সাংসদ। ২০১৪ সালে লোকসভার ভোটে অমৃতসরে লড়েও হেরেছেন তিনি।

জেটলির কাছে যশবন্তের প্রশ্ন, ‘‘আমি এতই অযোগ্য মন্ত্রী হলে কেনই বা বিদেশ মন্ত্রকের ভার দেওয়া হয়েছিল? আমি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ছিল বলেই সংসদে তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। আর পানামা কেলেঙ্কারিতে পাক প্রধানমন্ত্রীকে সরতে হয়েছে। অথচ তিন বছর আগে কালো টাকা রয়েছে এমন ৭০০ জনের নাম এইচএসবিসি ব্যাঙ্ক দিলেও কত জন গ্রেফতার হয়েছেন? কত জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?’’

এই তরজার মধ্যে বিজেপির অনেকে স্বীকার করছেন, বিরোধীদের হাতে বড় অস্ত্র তুলে দিয়েছেন যশবন্ত। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে সুকৌশলে জেটলি আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার মোড় অনেকটাই ঘুরিয়ে দিতে পেরেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন