নিবেদিতার নিস্তেজ জীবনে প্রাণের ছন্দ জাগিয়েছে যোগ

সদাচঞ্চল, উচ্ছ্বল কিশোরীটির বয়স তখন সবে মাত্র ১৫! হঠাত্ই এক দিন তার স্লিপ ডিস্ক হয়। তার পর থেকেই জীবনটা পাল্টে গিয়েছিল। কিন্তু, যোগ তাকে ফের জীবনের পথে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে তিনি নিজেই একটা যোগ কেন্দ্র সামলান। তিনি নিবেদিতা যোশী। বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশীর মেয়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ২০:৩৫
Share:

সদাচঞ্চল, উচ্ছ্বল কিশোরীটির বয়স তখন সবে মাত্র ১৫! হঠাত্ই এক দিন তার স্লিপ ডিস্ক হয়। তার পর থেকেই জীবনটা পাল্টে গিয়েছিল। কিন্তু, যোগ তাকে ফের জীবনের পথে নিয়ে এসেছে। বর্তমানে তিনি নিজেই একটা যোগ কেন্দ্র সামলান। তিনি নিবেদিতা যোশী। বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশীর মেয়ে।

Advertisement

ওই বয়সে স্লিপ ডিস্ক হওয়ার পর নিবেদিতার জীবন প্রায় থমকে গিয়েছিল। শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিল সে। ঘরে-বাইরে তার একমাত্র অবলম্বন ছিল হুইলচেয়ার। সঙ্গে, বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শুধু ছুটে যাওয়া। চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। উল্টে প্রতি দিন একটু একটু করে নিস্তেজ হতে শুরু করে ছোট্ট নিবেদিতার শরীর। কৈশোর পেরিয়ে যৌবন— নিবেদিতার একমাত্র সঙ্গী সেই হুইলচেয়ার। এই অবস্থাতেই সে চালিয়ে গিয়েছে পড়াশোনা। একের পর এক ধাপ পেরিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন মাইক্রোবায়োলজিস্ট।

আরও পড়ুন

Advertisement

ক্যানসারের ঝুঁকি, পাউরুটিতে পটাশিয়াম ব্রোমেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ হল

এমন একটা সময়েই পারিবারিক বন্ধু তথা সংঘ নেতা নানাজি দেশমুখ মেয়ের বিষয়ে যোগের পরামর্শ দেন মুরলীকে। নিজে সঙ্গে করে যোগগুরুর কাছে নিয়ে যান নিবেদিতাকে। তার পর দিনবদলের শুরু। দু’সপ্তাহের মধ্যেই উন্নতির লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে নিবেদিতার গত ৯ বছরের জীবন। একটা সময় আসে যখন নিবেদিতা জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছিল।

নিজের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে তিনি এখন দিল্লিতেই একটি যোগকেন্দ্র চালান। জীবনের বাজি হেরে যেতে যেতে দেওয়ালে পিঠ আটকে গিয়েছে এমন মানুষদের সেখানে দিশা দেখানো হয় যোগের মাধ্যমে। তাঁদের আরোগ্যের পথ এখন নিবেদিতা দেখান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন