উদ্ধব ঠাকরের সভায় আপত্তি যোগী সরকারের।—ফাইল চিত্র।
হিন্দুত্ব নিয়ে টানাপড়েন বিজেপি এবং শিবসেনায়। কে বেশি হিন্দু, তা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে দুই শিবিরই। টানাটানি শুরু হয়েছে ভগবান রামকে নিয়েও। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে একচেটিয়া নিজেদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে চায় বিজেপি। শিবসেনাকে একচুল জমিও ছাড়তে চায় না। তাই অযোধ্যায় উদ্ধব ঠাকরেকে সভা করার অনুমতি দিল না উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
উত্তরপ্রদেশেও তাদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে শিবসেনা। বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ সেখানকার হিন্দুদের মন জয় করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। লোকসভা নির্বাচনে সেখান থেকে প্রার্থী দাঁড় করানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। তার আগে হাওয়া বুঝতে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বর দু’দিনের অযোধ্যা সফরে যাচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে। সেখানে রাম মন্দির বিতর্ক নতুন করে খুঁচিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি। ক্ষমতায় আসার চারবছর পরও মন্দির নির্মাণ করতে পারেনি বিজেপি। সেই নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাতে বাদ সেধেছে যোগী সরকার।
তাদের দাবি, যে রামকথা পার্কে জনসভা করতে চাইছেন উদ্ধব, সেটি বিতর্কিত বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে অবস্থিত। রাম মন্দিরের দাবিতে সেখানে সভা করা ঠিক হবে না। মুখ ফস্কে উস্কানিমূলক কিছু বেরিয়ে গেলে খামোকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের গুলাব বাড়িতে উদ্ধবকে সভা করার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: ‘আগে মন্দির পরে সরকার,’ লোকসভা ভোটের আগে নয়া স্লোগান শিবসেনার
আরও পড়ুন: ববি হাকিম মেয়র হচ্ছেন, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বিধানসভায় জানালেন মমতা
কিন্তু তাদের এমন পরামর্শ মনে ধরেনি উদ্ধব ঠাকরের। এতটাই বিরক্ত হয়েছেন তিনি যে দু’দিনের অযোধ্যা সফরে কোনও জনসভাই করতে চান না। শুধুমাত্র প্রভাবশালী এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে সফর সারতে চান।
যোগী সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শিবসেনার সদস্যরা। উত্তরপ্রদেশের দলের সভাপতি অনিল সিংহ বলেন, ‘‘সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছি না। আমাদের অযোধ্যায় সভা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। অথচ ২৫ নভেম্বর সেখানেই সভা করতে যাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। কই ওদের তো বাধা দেওয়া হচ্ছে না!’’
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভায় দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এবং সাংগঠনিক সদস্যদের হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো করতে এখন থেকেই সভার প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় কর্মীদের।