কাশ্মীরে মৃত যুবক, অভিযুক্ত পুলিশ

মেহরানের পরিবারের দাবি, ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে বিক্ষোভের সময়ে মেহরানকে পাকড়াও করে পুলিশ। তখনই তার গলা চেপে ধরেছিলেন এক পুলিশকর্মী। সে দিন মেহরানের মাথায় ছররা লেগেছিল বলেও দাবি করেছে তাঁর পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০৪:৫৮
Share:

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ছবি। ফাইল চিত্র।

প্রায় ন’মাস আগের কথা। শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদের কাছে এক যুবকের শ্বাসরোধ করার ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ উঠেছিল, যাঁরা ওই যুবকের শ্বাসরোধের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের কর্মী। গত কাল মারা গিয়েছেন শ্রীনগরের সলিনা এলাকার বাসিন্দা মেহরান আহমেদ বান্দে নামে ওই যুবক। পুলিশের ওই মারধরের জন্যই শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ মেহরানের পরিবারের।

Advertisement

মেহরানের পরিবারের দাবি, ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে বিক্ষোভের সময়ে মেহরানকে পাকড়াও করে পুলিশ। তখনই তার গলা চেপে ধরেছিলেন এক পুলিশকর্মী। সে দিন মেহরানের মাথায় ছররা লেগেছিল বলেও দাবি করেছে তাঁর পরিবার।

ঘটনার পরে কয়েক দিন হাসপাতালে ছিলেন মেহরান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরেই ফের মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। মেহরানের সম্পর্কিত ভাই জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে প্রবল যন্ত্রণা হওয়ায় তাঁকে শ্রীনগরের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, মেহরানের মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। তার ফলে মাথায় রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে না। গত কাল দুপুর দু’টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মেহরানের পরিবারের দাবি, পুলিশের মারধরের ফলে মেহরানের অভ্যন্তরীণ ক্ষত হয়েছিল। যার জেরেই শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘ওই ঘটনা নিয়ে নৌহাট্টা থানায় এফআইআর হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’ তবে মানবাধিকার কর্মীদের মতে, কাশ্মীরে বিক্ষোভ সামলাতে বাহিনীর কৌশল আদৌ বদলায়নি। বারবার প্রতিবাদ হওয়া সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি ছররা ব্যবহারও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement