জিকা ভাইরাস বহনকারী মশা। ছবি- সংগৃহীত।
ফের উদ্বেগ, আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠল জিকা ভাইরাস। ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একের পর এক ঘটনার খবর আসছে রাজস্থানের জয়পুর থেকে। মঙ্গলবার আক্রান্ত হয়েছেন আরও সাত জন। রাজস্থানের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বাস্থ্য) বীনু গুপ্তা এ দিন তাঁর টুইটে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত শুধু জয়পুরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৯। সতর্কতা জারি হয়েছে বিহারেও। উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার জয়পুরে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। রাজস্থানের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালে আক্রান্তদের আলাদা ভাবে রেখে চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলে খোলা হয়েছে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম।
ডেঙ্গির মতোই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর আসে। গায়ে র্যাশ বেরয়। কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়। পেশী ও গ্রন্থিতে ব্যথা ও মাথাব্যথা হয়।
জয়পুরে প্রথম জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে গত ২৪ সেপ্টেম্বর। গত দু’সপ্তাহে শুধু জয়পুর শহরেই ২৯ জন আক্রান্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রকেরই এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন। শহরের শাস্ত্রী নগর এলাকাতেই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। রাজস্থান সরকারের বিশেষ মেডিক্যাল টিমগুলির অর্ধেকেরও বেশি তাই কাজে নেমেছে ওই এলাকায়। এলাকার ৬টি ওয়ার্ডে কাজ করছে ১৭৯টি মেডিক্যাল টিম। ইতিমধ্যেই জয়পুর শহরের ৬ হাজার বাড়িতে আলাদা ভাবে অভিযান চালিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। দেখা হয়েছে, সেই সব বাড়িতে জিকা ভাইরাস বহনকারী মশা বা তাদের লার্ভা জন্মাচ্ছে কি না।
আরও পড়ুন- ক্যানসার বধের নিখুঁত ‘মিসাইল’ বানিয়ে চমক বালিগঞ্জের অম্বরীশের
আরও পড়ুন- ডেঙ্গির টিকা থেকে এ বার ছড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর জিকা?
জয়পুরে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক জনের বাড়ি বিহারের সিওয়ানে। অগস্টের ২৮ তারিখ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি ছিলেন সিওয়ানে তাঁর বাড়িতে। তাই, বিহার প্রশাসনও রাজ্যের ৩৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে।
গত বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ভারতে জিকা ভাইরাসের হানাদারির প্রথম ঘটনা ঘটেছিল গুজরাতের অমদাবাদে। তার পর গত জুলাইয়ে জিকা ভাইরাস হানা দেয় তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলায়।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ