অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে মোদীর কাছে তরুণ গগৈ

অসমের অনুপ্রবেশ সমস্যাকে জাতীয় সঙ্কট হিসেবে ঘোষণার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। রাজনীতির দুই মেরুতে অবস্থান করলেও তাঁদের মধ্যে সৌজন্যের কোনও ঘাটতি ছিল না। গগৈ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। অনুপ্রবেশ সমস্যা ছাড়াও দু’জনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রকল্প নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। গগৈ মোদীর হাতে একটি দাবিপত্রও তুলে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০৩:২৯
Share:

মোদীর কাছে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সোমবার দিল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র

অসমের অনুপ্রবেশ সমস্যাকে জাতীয় সঙ্কট হিসেবে ঘোষণার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। রাজনীতির দুই মেরুতে অবস্থান করলেও তাঁদের মধ্যে সৌজন্যের কোনও ঘাটতি ছিল না। গগৈ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। অনুপ্রবেশ সমস্যা ছাড়াও দু’জনের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রকল্প নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। গগৈ মোদীর হাতে একটি দাবিপত্রও তুলে দেন।

Advertisement

বৈঠকের পর গগৈ জানান, অসমের অনুপ্রবেশ সমস্যাকে জাতীয় সঙ্কট হিসেবে গণ্য করে অবিলম্বে এ নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে অসমের নির্বাচনী প্রচারে মোদীর প্রধান হাতিয়ারই ছিল এই অনুপ্রবেশ সমস্যা। ক্ষমতায় এলেই অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্তের ওপারে পাঠানোর কথাও তিনি ঘোষণা করেন। মোদী ক্ষমতায় এসেছেন দেড় মাস আগে। অসমে ১৪টির মধ্যে সাতটি লোকসভা আসনই দখল করেছে বিজেপি। তার পরও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুপ্রবেশ নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য না করায় এর আগে অসমের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী গগৈ কটাক্ষও করেছেন মোদী তথা বিজেপিকে। রাজ্যে নিজেদের পালের হাওয়া অক্ষুণ্ণ রাখতে অসমের বিজেপি নেতারা গত সপ্তাহেই দরবার করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আজ ফের একই সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে হাজির হন গগৈ। উন্মুক্ত নদী-সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর আবেদন রেখেছেন তিনি। গগৈ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অসমে ৯৭.২২ শতাংশ সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ। কিন্তু বাকি অংশে হয় নির্দিষ্ট সীমা নেই, না হলে ঘন বসতি থাকায় বা জল থাকায় বেড়া দেওয়া যায়নি। একই সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রযুক্তিগত সাহায্য ও পর্যাপ্ত অর্থ চেয়েছেন গগৈ। অনুপ্রবেশ ছাড়াও রাজ্যে মাওবাদী প্রসার, রেল-সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি, বিমান ও নদী বন্দরের উন্নতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি, বন্যা ও ভূমিক্ষয় সমস্যা ও জ্বালানি তেলের উপর বকেয়া ইত্যাদি নিয়েও দু’জনের মধ্যে কথা হয় বলে গগৈ জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন