ভারতে ধর্ষণ সমস্যার জন্য এক ভারতীয় ছাত্রকে ইন্টার্নশিপ দিতে অস্বীকার করার ঘটনায় মুখ খুললেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিংহ।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, “কোনও বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ হতেই পারে। আমাদের দেশেও হতে পারে, অন্য কোনও দেশেও। কিন্তু তার ফলে কী হচ্ছে সেটাই দেখা দরকার।” বিষয়টি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের বাইরে চর্চা করে আরও বেশি জলঘোলা করার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এই ধরনের মতবিরোধ সহজেই মিটিয়ে ফেলা যায়। এ ক্ষেত্রেও আশা করা যায়, সেটাই হবে।”
ভারতে ধর্ষণ সমস্যার জন্য এক ভারতীয় ছাত্রকে ইন্টার্নশিপে ভর্তি করতে অস্বীকার করে একটি ই-মেল পাঠিয়েছিলেন জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যানেট বেক-সিকিঙ্গার। ওই ভারতীয় ছাত্র এবং সেই অধ্যাপকের মধ্যে যে ই-মেল চালাচালি হয়েছিল, তা প্রকাশ করে দেন ওই ছাত্রের এক সহকর্মী। তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক।
কী লেখা ছিল ই-মেলে?
অধ্যাপক লিখেছিলেন, “আমি দুঃখিত, কোনও ভারতীয় ছাত্রকে ইন্টার্নশিপে নিতে পারব না। ভারতে যে ধর্ষণ সমস্যার কথা আমি শুনেছি, তা আমার কাছে যথেষ্ট আপত্তিকর। আমার দলে বহু ছাত্রী রয়েছে। আমি ভারতীয়দের এই স্বভাব সমর্থন করি না।”
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অধ্যাপককে চিঠি দিয়েছেন ভারতে জার্মানির রাষ্ট্রদূত মাইকেল স্টাইনার। ই-মেল বিনিময়ের কথা অস্বীকার করেননি ওই অধ্যাপক। তবে দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, তাঁর পাঠানো ই-মেলে যেন কেউ অপমানিত না হন। তাঁর বক্তব্য, “পরিপ্রেক্ষিতের বাইরে নিয়ে গিয়ে ই-মেলগুলোর ভুল মানে করা হচ্ছে। আমার ভারতীয় পুরুষদের বিরুদ্ধে কোনও বিদ্বেষ নেই। ভারতীয় পুরুষ মাত্রেই ধর্ষক, এমন কথাও আমি বলিনি।”