গিরিরাজের নামে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিজেপি নেতা তথা বিহারের নওয়াদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গিরিরাজ সিংহের নামে বোকারো এসডিজেএম আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বলে গিরিরাজ জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৬
Share:

বিজেপি নেতা তথা বিহারের নওয়াদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গিরিরাজ সিংহের নামে বোকারো এসডিজেএম আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল। বৃহস্পতিবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন বলে গিরিরাজ জানিয়েছেন।

Advertisement

রবিবার গিরিরাজ বোকারো এবং দেওঘরের জনসভায় বলেন, “যারা নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতা করবে তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।” নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বুঝেই বিজেপি নেতৃত্ব গিরিরাজের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেননি। মোদী ট্যুইট করে জানিয়ে দেন, “গিরিরাজ সিংহের বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করি না।” সোমবার গিরিরাজ সিংহের বিরুদ্ধে দেওঘর এবং বোকারোয় এফআইআর দায়ের করা হয়। পটনার বিমানবন্দর থানাতেও একটি এফআইআর করা হয়। এরপরে আজ বোকারো এসডিজেএম আদালত থেকে জামিন অযোগ্য একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা শুনে গিরিরাজ বলেন, “আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।” একই সঙ্গে তিনি জানান বৃহস্পতিবারই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই গিরিরাজকে প্রচার করতেও নিষেধ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ দিকে, বিহারের মহারাজগঞ্জের আরজেডি প্রার্থী তথা বাহুবলী সাংসদ প্রভুনাথ সিংহের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরেই তিনি নিখোঁজ। জেলা প্রশাসন তাঁকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, ক’ দিন আগে একটি জনসভায় এই প্রার্থী বলেছিলেন, গরিব মানুষের জন্য প্রশাসন নেই। আপনারা যতবার পারবেন ভোট যন্ত্রের বোতাম টিপবেন। এরপরেই কমিশন বিধি ভাঙার দায়ে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করে। দ্বিতীয়টি ঘটে তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। ওই দিন তাঁর সমর্থকরা জেলার নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসকের অফিসের সামনের বাঁশের বেড়া ভেঙে দেয়। তাতেও এই সাংসদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় জেলাশাসক বনাম প্রভুনাথ লড়াই। ক’দিন আগে তিনি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে বলেন, “এটা আমার জীবণ-মরণের ব্যাপার।” সমর্থকদের তিনি বলেছিলেন, “একটি কফিন কিনব। যদি মারা যাই তা হলে আমাকে সেখানে রাখা হবে।” একই সঙ্গে নাম না করে জেলাশাসককে লক্ষ্য করে বলেন, “আর উনি যদি মারা যান তা হলে তাঁকে রাখা হবে।” জেলাশাসক কুন্দন কুমার বলেন, “এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তারপর থেকেই প্রভুনাথ ফেরার।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন