মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের কাছে মৌখিক ভাবে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর চাপ বজায় রাখলেন অসমের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
আজ গগৈয়ের কয়নাধারার বাড়িতে যান হিমন্ত। প্রায় ঘণ্টাখানেক দু’জনের বৈঠক হয়। বাইরে এসে হিমন্ত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যদি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন, তবে সেখানে আমার আসন খালি বলেই ধরে নিতে পারেন।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে থাকা ৪৬ জন বিধায়কের কেউ-ই মন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশ জানান, এ কথা জানিয়ে পরোক্ষে হাইকম্যান্ডের উপর চাপ বজায় রাখলেন হিমন্ত।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছাই আর আমার নেই। অন্য কোনও পদ আঁকড়েও থাকতে চাই না। বিধায়ক হিসেবেই দলের জন্য কাজ করে যাব।” হিমন্ত জানান, দলের ভালোর জন্যেই কয়েকটি দাবি এআইসিসিকে জানিয়েছিলেন। তা নিয়ে সনিয়া গাঁধীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নেবেন। তাঁর কথায়, “আমরা আর লড়াইতে নেই। সব মনোমালিন্য, রাজনৈতিক অচলাবস্থা শেষ। একে কেউ আত্মসমর্পণ মনে করলেও আমার আপত্তি নেই।”
তবে হিমন্ত বিবাদ শেষ হওয়ার ‘বার্তা’ দিলেও, এ দিনই বৈঠক করেন গগৈ-বিরোধীরা। দলীয় সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধরা নিজেদের কাজ শুরু করলেও, মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবিতে অনঢ় থাকবেন।
গগৈ-শিবির বনাম গগৈ-বিরোধী শিবিরের কাজিয়ার জেরে অধিকাংশ বিধায়ক এক মাসের বেশি সময় ধরে নিজের কেন্দ্র ছেড়ে দিসপুরেই রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, কয়েক জন মন্ত্রী যাচ্ছেন না নিজেদের দফতরেও। কিন্তু, এআইসিসি নেতাদের সঙ্গে বারবার বৈঠকের পরেও, গগৈ-বিরোধীরা বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি।
দলীয় সূত্রের খবর, কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তরুণ গগৈকে মন্ত্রিসভা রদবদলের ‘সবুজ সঙ্কেত’ দিয়েছে। গগৈ-বিরোধী শিবিরের দাবি, তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের চার মন্ত্রী-সহ ৪৬ জন বিধায়ক রয়েছেন। মন্ত্রী গৌতম রায়, সিদ্দেক আহমেদরা প্রকাশ্যেই গগৈয়ের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন।