ঘুষ দিতে না চাওয়ায় ধাক্কা, মৃত ভ্যানচালক, ধৃত দুই পুলিশ

ঘুষ না-দেওয়ায় এক ভ্যানরিকশা চালককে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অসম পুলিশের দুই কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে। পরে ওই রিকশাচালকের মৃত্যু হয়। দুই কনষ্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০২:৫৬
Share:

ঘুষ না-দেওয়ায় এক ভ্যানরিকশা চালককে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অসম পুলিশের দুই কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে। পরে ওই রিকশাচালকের মৃত্যু হয়। দুই কনষ্টেবলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।

Advertisement

বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ ধুবুরি জেলার ছাগলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই ঘটনায় মৃত্যু হয় নুরুল হকের (৩০)। তাঁর বাড়ি ছাগলিয়া গ্রামে। ধৃত ওই দুই কনষ্টেবলের নাম রমজান আলি এবং রফিকুল ইসলাম সরকার। দুজনেই ছাগলিয়া ফাঁড়িতে কর্মরত। অভিযোগ, এ দিন সকালে ভ্যানরিকশায় মুরগির খাবার নিয়ে ছাগলিয়া তল্লাশি চৌকি পার হয়ে যাচ্ছিলেন নুরুল। সেই সময় তল্লাশি চৌকিতে কর্মরত ওই দুই কনষ্টেবল, তাঁকে দাঁড় করিয়ে ২০০ টাকা ঘুষ চান বলে অভিযোগ। ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় ভ্যান রিকশা চালককে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর আহত হন ভ্যান রিকশা চালক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর চাউর হতেই এলাকায় প্রতিবাদ শুরু হয়।

এলাকায় উত্তেজিত গ্রামবাসী সকাল ১১টা নাগাদ অভিযুক্ত দুই কনষ্টেবলের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে ছাগলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে ধুবুরি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিস বড়ুয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ওই দুই কনষ্টেবলকে গ্রেফতার করেন। বেলা ৩টা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। ধুবুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযুক্ত ওই দুই কনষ্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই দুই কনষ্টেবলকে সাসপেন্ড করা হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement