যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হল গিরিডি লোকসভা কেন্দ্রে জেএমএম প্রার্থী তথা ডুমরির বিধায়ক জগন্নাথ মাহতোর বিরুদ্ধে। গত কাল গভীর রাতে ওই মামলা রুজু করা হয়।
আজ দুপুরে মনোনয়ন দাখিল করেন জগন্নাথ।
পুলিশ সূত্রের খবর, বোকারোর নওয়াডিহি এলাকায় গত কাল ভোরে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। নিহতের পরিজনদের অভিযোগ, ওই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছেন জগন্নাথও। তা ছাড়া, ওই বিধায়কের দাদা বৈদ্যনাথ-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বোকারোর পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র সিংহ জানান, মূল অভিযুক্ত বৈদ্যনাথই। ইতিমধ্যেই ওই খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জগন্নাথ। তিনি বলেছেন, “ভোটের আগে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার দাদা কোনও অন্যায় করে থাকলে, ওঁর শাস্তি হবে।” পুলিশ জানায়, সন্তোষ পাণ্ডে (২০) নামে এক যুবকের সঙ্গে নওয়াডিহির একটি গ্রামের এক তরুণীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তরুণীর পরিবার ওই সম্পর্ক মানতে চায়নি। কয়েক মাস আগে সন্তোষ চেন্নাইতে চাকরি পান। ওই তরুণীকে চেন্নাই নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন বিধায়ক জগন্নাথের কাছে নালিশ জানান। তা সমাধানের দায়িত্ব দাদা বৈদ্যনাথকে দেন জেএমএম নেতা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চেন্নাই থেকে ফিরে আসার পর ওই দম্পতিকে নওয়াডিহির নাররার জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে সন্তোষকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর জখম ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করলে, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই ঘনশ্যামের দাবি, মৃত্যুর সময় তাঁর ভাই অভিযুক্তদের নাম জানিয়েছেন। তখন বৈদ্যনাথের ভাই, বিধায়ক জগন্নাথের কথাও তিনি জানান। জগন্নাথ এবং তাঁর দাদাকে গ্রেফতারের দাবিতে আজ সকাল থেকে সন্তোষের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সন্তোষের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।