টিকিট না পাওয়ায় শিবুকে ইস্তফার চিঠি ৩ বিধায়কের

রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে ‘বিদ্রোহ’ দানা বাঁধল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) অন্দরমহলে। পছন্দের ব্যক্তি মনোনয়ন না-পাওয়ায় দলের শীর্ষনেতা শিবু সোরেনের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন জেএমএম-এর তিন প্রবীণ বিধায়ক।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

রাঁচি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:৩০
Share:

রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে ‘বিদ্রোহ’ দানা বাঁধল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) অন্দরমহলে। পছন্দের ব্যক্তি মনোনয়ন না-পাওয়ায় দলের শীর্ষনেতা শিবু সোরেনের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠালেন জেএমএম-এর তিন প্রবীণ বিধায়ক। একইসঙ্গে হুমকির সুরে তাঁরা জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না-করলে রাজ্যপাল এবং বিধানসভার অধ্যক্ষকেও পদত্যাগপত্র পাঠাবেন। দু’টি আসন রয়েছে রাজ্যসভায়। তারই একটিতে সবিতা মাহতোকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল জেএমএম। প্রয়াত জেএমএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুধীর মাহাতর স্ত্রী সবিতা। গত সপ্তাহে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুধীরের মৃত্যু হয়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই সবিতাকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল জেএমএম।

Advertisement

কিন্তু শেষ মুহূর্তে লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-র চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন শিবু সোরেন। জেএমএম সূত্রের খবর, আরজেডি জানিয়েছিল, দলীয় প্রার্থী প্রেমচন্দ্র গুপ্তকে সমর্থন না-করলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সম্পর্কছেদ করা হবে। সরকার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পিছনে হঠে জেএমএম। রাজ্যসভার টিকিট দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকালে সবিতাদেবীকে জামশেদপুর থেকে রাঁচিতে ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রার্থী করা যাচ্ছে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়।

শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত রাতেই টুণ্ডির বিধায়ক মথুরাপ্রসাদ মাহাত, বহরাগোড়ার বিধায়ক বিদ্যুৎবরণ মাহাত আর ডুমরির বিধায়ক জগন্নাথ মাহাত ইস্তফা দেন। যদিও দল তা গ্রহণ করেনি। জেএমএম মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “সবিতাদেবীকে আমরা কে ডি সিংহের জায়গায় প্রার্থী করব।” ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভা সদস্য কে ডি সিংহ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থী। মথুরাপ্রসাদ বলেন, “কে ডি সিংহের জায়গায় আরজেডি প্রার্থীকেও মনোনীত করা যেত। যাঁরা দলের জন্য রক্ত ঝড়ালেন তাঁদের প্রতিও দলের দায়বদ্ধতা রয়েছে।” বিদ্যুৎবরণ বলেন, “দু-তিন দিনের মধ্যে দল সঠিক সিদ্ধান্ত না-নিলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেব। দল ছাড়ব না। তবে বিধায়কও থাকব না। এভাবে আমাদের অসম্মান করার কী মানে?”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন