টাকা ফেরালেন দুই প্রধান শিক্ষক

স্কুলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা লোপাটের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তিন প্রধান শিক্ষককে। আজ হাইলাকান্দির ঘটনা। সন্ধেয় তাঁদের মধ্যে দু’জনের পরিবারের লোকরা টাকা নিয়ে থানায় হাজির হন। অন্য জনও আগামী কালের মধ্যে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত কাল দুর্নীতির দায়ে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৬
Share:

স্কুলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা লোপাটের অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তিন প্রধান শিক্ষককে। আজ হাইলাকান্দির ঘটনা। সন্ধেয় তাঁদের মধ্যে দু’জনের পরিবারের লোকরা টাকা নিয়ে থানায় হাজির হন। অন্য জনও আগামী কালের মধ্যে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। গত কাল দুর্নীতির দায়ে এক প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রয়াত সহকর্মীর পেনশনের কাগজপত্র দেওয়ার বদলে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিনি ধরা পড়েন।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে স্কুলে স্কুলে ছাত্রীদের জন্য শৌচালয় নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা হয়। ‘সর্বশিক্ষা মিশন সিভিল ফান্ড’ থেকে সে জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা করে পায় স্কুলগুলি। হাইলাকান্দির বেশিরভাগ স্কুল বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি স্কুলে এখনও শৌচাগার তৈরি করা হয়নি।

সে সংক্রান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে হাইলাকান্দি জেলার ‘মিশন কো-অর্ডিনেটর’ ও অতিরিক্ত জেলাশাসক ফয়জুর রহমান লস্কর এ দিন ওই স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের ডেকে পাঠান। তাঁদের কয়েক জন শৌচাগার নির্মাণের জন্য জমির অভাব-সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বরাদ্দের টাকা যে তাঁদের হেফাজতে রয়েছে, তাও নিশ্চিত করেন। দু’জন প্রধান শিক্ষক ভুল স্বীকার করে দু’দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তিন জন জানান, বিভিন্ন লোকের মধ্যে ভাগাভাগির পর যে টাকা তাঁরা পেয়েছিলেন, তা খরচ হয়ে গিয়েছে। এত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই। এর পরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, জমিরউদ্দিন মেমোরিয়াল এলপি স্কুলের ফয়জুর হক মজুমদার, রায়গ্রাম এলপি স্কুলের আব্দুল রউফ লস্কর এবং ১০৭ নম্বর শিবোত্তর এলপি স্কুলের প্রধান শিক্ষত সাজ্জাদুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃত সাজ্জাদুর বলেন, “মিশন কো-অর্ডিনেটর আমাদের টাকা ফেরতের সুযোগই দিলেন না।”

বিকেল হতেই ছবিটা বদলাতে থাকে। ফয়জুর ও আব্দুল রউফের পরিজনরা টাকা নিয়ে থানায় হাজির হন। সাজ্জাদুর জানান, তিনিও আগামী কাল টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অতিরিক্ত জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ তিন জনকেই ছেড়ে দেয়। তবে তাঁদের শর্ত দেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিতে দ্রুত শৌচালয় তৈরি করতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন