দেরি করে আসার অপরাধে কর্মীদের ছুটি কাটলেন মন্ত্রী

এসেছিলেন চমক দিতে। চমকে গেলেন নিজেরাই। কেন্দ্রে মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর আর পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল। কাজ হচ্ছে কি না দেখতে এসে দু’জনেই আবিষ্কার করলেন, গরহাজির বহু কর্মী! দেরিতে আসার মাসুল হিসেবে এক দিনের ছুটি খোয়ালেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা। কাজের গতি-প্রকৃতি, কর্মীদের হাজিরা ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে আজ সকাল সাড়ে ন’টায় হঠাৎ পরিদর্শনে নিজের মন্ত্রকে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০৪:১২
Share:

এসেছিলেন চমক দিতে। চমকে গেলেন নিজেরাই। কেন্দ্রে মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর আর পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল। কাজ হচ্ছে কি না দেখতে এসে দু’জনেই আবিষ্কার করলেন, গরহাজির বহু কর্মী! দেরিতে আসার মাসুল হিসেবে এক দিনের ছুটি খোয়ালেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা।

Advertisement

কাজের গতি-প্রকৃতি, কর্মীদের হাজিরা ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে আজ সকাল সাড়ে ন’টায় হঠাৎ পরিদর্শনে নিজের মন্ত্রকে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। কিন্তু এসে দেখেন, চেয়ার-কিউবিকল বেশির ভাগই ফাঁকা। বেলা ১০টা পর্যন্ত গরহাজির মন্ত্রকের প্রায় ৪০ জন গুরুত্বপূর্ণ কর্মী-আধিকারিক। অপেক্ষা করেননি মন্ত্রী। সটান চলে যান নিজের ঘরে। দেরিতে আসার শাস্তি হিসেবে প্রত্যেক কর্মীকে ছুটির দরখাস্ত-সহ দেখা করার নির্দেশ দেন তিনি। দেরিতে আসা মানে এক দিন কামাই কড়া পদক্ষেপ মন্ত্রীর।

মন্ত্রক সূত্রের খবর, ৯টার সময় শাস্ত্রী ভবনে এসে পৌঁছন মন্ত্রী। ৯টা ৩০-এ বেরোন পরিদর্শনে। সূচি অনুযায়ী ন’টার মধ্যেই মন্ত্রকের সবার এসে যাওয়ার কথা। কাজের সময় বাঁধা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা। শনি ও রবিবার ছুটি বাদে সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা কাজ করার কথা সরকারি কর্মীদের। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতই সরকারি কাজে গতি আনার কথা বলুন না কেন, সরকারি কর্মীরা এখনও বহাল তবিয়তেই।

Advertisement

আজ একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল। চণ্ডীগড়ের রাজ্য সচিবালয়ে সকাল ৯টায় হঠাৎ পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী আবিষ্কার করেন, গরহাজির মুখ্যসচিব, বিশেষ সচিব, অতিরিক্ত সচিব-সহ মোট ১৪ জন আমলা। ছিলেন না জাতীয় তথ্য কেন্দ্রের এক জন কর্মী-আধিকারিকও। অনুপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্কুলশিক্ষা, নগরোন্নয়ন এবং অর্থের মতো কিছু দফতরের আমলারা।

জুনের মাঝামাঝি একই ভাবে সচিবালয়ে এসে তিনি দেখা পাননি ৮ মন্ত্রী ও ১ উচ্চপদস্থ আমলার। সেদিন দেরিতে আসা কোনও মন্ত্রী-আমলাকে শাস্তি দেননি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। আজও দিলেন না। শুধু সতর্ক করে দিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন