খোশমেজাজে। দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার গাঁধীনগরে। ছবি: পিটিআই।
ভারতের নতুন সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে আগ্রহী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন সফল করায় ভারতকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি। বারাক ওবামার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক কী চেহারা নেবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। গুজরাত দাঙ্গার পরে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে আমেরিকা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের একটি অংশও মোদীর বিরুদ্ধে সক্রিয়।
গুজরাত দাঙ্গার পরে মোদীর সঙ্গে ব্রিটেন-সহ ইউরোপের নানা দেশের সম্পর্কেও চিড় ধরেছিল। কিন্তু পরে ক্রমশ অবস্থান বদল করে ওই দেশগুলি। ফেব্রুয়ারি মাসে মত বদলের ইঙ্গিত দেয় আমেরিকাও। মোদীর সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েল।
ওবামা তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “গত দু’দশক ধরে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। তাতে আমাদের দু’দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বেড়েছে। বিশ্বে নানা চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করাও সহজ হয়েছে।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, “বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচন সফল করে ভারত নজির তৈরি করেছে।”
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আমেরিকার এই প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিতই। সময় ভেদে একই ব্যক্তি সম্পর্কে অবস্থান পরিবর্তন রাজনীতি বা কূটনীতিতে নতুন কিছু নয়। বাণিজ্যিক ও কৌশলগত কারণে আমেরিকার পক্ষে ভারতকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। বিশেষত পরমাণু চুক্তির পরে ভারতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী অনেক মার্কিন সংস্থা। কিন্তু, ইউপিএ জমানায় আইনকানুনের ফাঁকে পড়ে তা বাধা পেয়েছে। নয়া সরকারের আমলে এই বিষয়ে এগোনোর চেষ্টা করতে চায় তারা। আবার দক্ষিণ এশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলেও ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন আমেরিকার। আফগানিস্তান-পাকিস্তান প্রশ্নে নয়াদিল্লিকে বাদ দেওয়া ওয়াশিংটনের পক্ষে সম্ভব নয়। বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকরের বক্তব্য, “ওবামার বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে হাওয়া কোন দিকে বইছে। সব দেশই নয়া সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।”