ধর্ষকদের ধরতে ধর্ষণের ভিডিওই হাতিয়ার তরুণীর

ছ’-ছ’টা চেহারা। সকলেই ক্যামেরার দিকে সহাস্যে তাকিয়ে। ...ধর্ষণ করার ঠিক পরে। হোয়াটস অ্যাপে এমনই কিছু ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছিলেন হায়দরাবাদের সমাজকর্মী সুনীতা কৃষ্ণন। শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি অপরাধীরা। গোটা ঘটনাটা ভিডিও করে রেখেছিল তারা। আর তার পর তা পোস্ট করে দেয় হোয়াটস অ্যাপে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৮
Share:

ছ’-ছ’টা চেহারা। সকলেই ক্যামেরার দিকে সহাস্যে তাকিয়ে। ...ধর্ষণ করার ঠিক পরে।

Advertisement

হোয়াটস অ্যাপে এমনই কিছু ধর্ষণের ভিডিও পেয়েছিলেন হায়দরাবাদের সমাজকর্মী সুনীতা কৃষ্ণন। শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি অপরাধীরা। গোটা ঘটনাটা ভিডিও করে রেখেছিল তারা। আর তার পর তা পোস্ট করে দেয় হোয়াটস অ্যাপে। সুনীতা আর পাঁচ জনের মতো বিষয়টি নিয়ে স্রেফ চর্চা না চালিয়ে, ধর্ষকদের হাসিমুখ-সহ ভিডিওটি (আক্রান্ত মহিলার পরিচয় গোপন রাখতে কিছু অংশ বাদ দিয়ে) পোস্ট করে দেন ইউটিউবে। ‘শেম দ্য রেপিস্ট’ নাম দিয়ে দর্শকদের কাছে আবেদন করেন, “ধর্ষকদের ধরিয়ে দিতে সাহায্য করুন।” এ দিন সকালে ইট ছুড়ে তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দিয়েছেন কিছু অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী, দাবি সুনীতার। সে নিয়ে থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে। যদিও কেন এমন ঘটল, তা নিয়ে সন্দিহান।

পনেরো বছর বয়সে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সুনীতা। এ দিন বললেন, “যখন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন কেউ এগিয়ে আসে না।” এই চিন্তাভাবনাটাকেই বদলাতে চেয়েছি। জানালেন, সেই কারণেই ভিডিওটা দেখে মুখ বুজে থাকতে পারেননি। বরং ধর্ষকদের শাস্তি দিতে চেয়েছেন তিনি। ভিডিওটা হাতে আসতে সুনীতা তাঁর স্বামীর সাহায্য নেন। তিনি পেশায় এক জন পরিচালক। ভিডিওটি সামান্য কাঁটাছেড়া করে আক্রান্ত মহিলার ছবি বাদ দিয়ে দিতে সাহায্য করেন স্বামীই। পরে ধর্ষকদের ছবি-সহ ভিডিওটি পোস্ট করে দেন ইউটিউবে। ইউটিউবও অবশ্য আজ ভিডিওগুলো

Advertisement

তাতে দমে যাননি তরুণী। ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। আর লিখেছেন “আপনার পরিচিত কেউ যদি এমন কোনও ভিডিও পেয়ে থাকেন, আমাকে জানান। ‘শেম দ্য রেপিস্ট’ প্রচারে যোগ দিন।” নিজের ই-মেল আইডি-ও দিয়ে দিয়েছেন সুনীতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement