ধর্ষণ-বিতর্কে আজমি

একে মুলায়মে রক্ষা নেই, আবু আজমি দোসর। ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে গত কাল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মুলায়ম। আজ দলীয় প্রধানকে সমর্থন করে আজমি বলেছেন, “অবিবাহিতা মহিলারা যৌন সম্পর্কে জড়ালেই তাঁদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। ধর্ষিতাদেরও এই সাজা দিতে হবে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৪৬
Share:

একে মুলায়মে রক্ষা নেই, আবু আজমি দোসর।

Advertisement

ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে গত কাল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মুলায়ম। আজ দলীয় প্রধানকে সমর্থন করে আজমি বলেছেন, “অবিবাহিতা মহিলারা যৌন সম্পর্কে জড়ালেই তাঁদের ফাঁসি দেওয়া উচিত। ধর্ষিতাদেরও এই সাজা দিতে হবে।”

মোরাদাবাদের জনসভায় মুলায়ম গত কাল বলেন, “ধর্ষণ তারুণ্যের ভুল। সে জন্য ধর্ষকদের ফাঁসি দেওয়া উচিত নয়। নয়া ধর্ষণ-বিরোধী আইন বদলানোর চেষ্টা করা হবে।” মুলায়মের দাবি, প্রেম ভাঙলেই মেয়েরা ধর্ষণের অভিযোগ করে।

Advertisement

মুলায়মের এই মন্তব্যের পরে বিতর্ক শুরু হয়। কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল ও মহিলা অধিকার সংগঠনগুলি। আজ অন্য একটি সভায় মুলায়ম বলেছেন, “ধর্ষণ নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্ক চলছে। আমি ধর্ষণের বিরোধী। ধর্ষকদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু নির্দোষের শাস্তি হওয়া উচিত নয়। আমি কী ভুল বলেছি?”

তবে তাতে বিতর্ক থামেনি। মুলায়মের ভোটে লড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবিতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক উমেশ সিন্হা জানিয়েছেন, সমাজবাদী শীর্ষ নেতার বক্তৃতার সিডি চাওয়া হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ওই ফুটেজ দেখা হবে।

পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তুলেছেন সমাজবাদী নেতা আবু আজমি। আজ তিনি বলেন, “ইসলামে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু এ দেশে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের শাস্তি হয় না। মহিলারাও দোষী।” আজমির দাবি, “মেয়েরা কেউ স্পর্শ করলে অভিযোগ করেন। না করলেও অনেক সময়ে করেন। ধর্ষণ হলে বা বিবাহবন্ধনের বাইরে যৌন সম্পর্ক হলে মহিলাদেরও ফাঁসি হওয়া উচিত।”

আজমির মন্তব্যের পরে ফের বিতর্ক শুরু হয়। টুইটার-ফেসবুকেও ফের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন গোটা সমাজবাদী নেতৃত্ব। কেউ বলেছেন, “আজমি আফগানিস্তানের ভোটে জেতার চেষ্টা করছেন।” কেউ আবার বলেছেন, “অসুস্থ মানসিকতা ছাড়া যে সমাজবাদী পার্টিতে থাকা যায় না তা আজমি ফের প্রমাণ করলেন।”

মুলায়মের মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন দিল্লিতে ধর্ষিতা নির্ভয়ার বাবাও। তাঁর মতে, “মুলায়ম তাঁর শাসনকালে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিস্থিতি আরও খারাপ না করতে চাইলে তিনি এই মন্তব্য করতেন না।” বিতর্কের জেরে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে আজমির পরিবার। তাঁর ছেলে ফারহানের স্ত্রী ও অভিনেত্রী আয়েষা টাকিয়া আজমি জানান, “আমার শ্বশুরের মন্তব্য সত্যি হলে তা দুঃখজনক। আমি বা ফারহান এই মন্তব্য সমর্থন করি না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement