অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির সঙ্গে ঐকমত্য হওয়ায় পেট্রোল-ডিজেলকে বাইরে রেখেই পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু করে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকেই এই কর চালু করে দিতে সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করাতে চায় কেন্দ্র। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যগুলির আপত্তি থাকায় ৫ বছর ধরে চালু করা যাচ্ছে না এই কর।
সরকার চাইছিল পেট্রো-পণ্যকেও জিএসটি-র আওতায় রাখতে। তাতে পেট্রোল-ডিজেল ও তার সঙ্গে অন্যান্য পণ্যেরও দাম কমতে পারে। কিন্তু পেট্রো-পণ্যে প্রবেশ কর বসানোর অধিকার ছাড়তে চায়নি রাজ্যগুলি। কারণ, তাদের রাজস্ব আয়ের ৪০-৫০% আসে ওই কর থেকে। এই জট কাটাতেই আজ ফের রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের এমপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান, জম্মু-কাশ্মীরের অর্থমন্ত্রী আব্দুল রহিম রাথের বৈঠক শেষে বলেন, রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সরকার চাইলে এই অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করবে।
কী সেই ঐকমত্য?
সূত্রের খবর, প্রবেশ করকে জিএসটি-র আওতায় আনতে রাজি হয়েছে রাজ্যগুলি। উল্টো দিকে পেট্রো-পণ্যকে জিএসটি-র বাইরে রাখতে রাজি হয়েছে কেন্দ্র।
শিল্পমহল অবশ্য মনে করছে, এতে জিএসটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। কারণ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিল্প ক্ষেত্রেও পেট্রোল-ডিজেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার হয়। এই পণ্যগুলির উপর কর সরলীকরণ হলে এবং এদের দাম কমলে, অর্থনীতিতেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ত। আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়তে পারত অন্তত ২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় কর বাবদ ক্ষতিপূরণ নিয়েও অবশ্য জট পুরো কাটেনি। জিএসটি চালুর লক্ষ্যে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় বিক্রয় করের হার কমাতে হয়েছিল। তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু তার মোটা অঙ্ক বকেয়া রয়েছে। জেটলি তিন কিস্তিতে তা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন আগেই। এ দিনের বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা দাবি তোলেন, সংবিধান সংশোধনী বিলে উল্লেখ করতে হবে ওই ক্ষতিপূরণের কথা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, বিলে এ বিষয়টির উল্লেখ রাখা যাবে কি না, সে ব্যাপারে আইন মন্ত্রকের মত চাওয়া হবে।