ইনার লাইন পারমিট নিয়ে টানা আন্দোলনের জেরে আড়াই মাস অচল ছিল ইম্ফল। তার ফলে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে আইন ও সংশোধনীগুলি পাশ করিয়ে রাজ্য সরকার আজই মণিপুরে ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) চালুর ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিল। কিন্তু, সেই আইন পাশ করার পরেই মণিপুরের কুকি এলাকায় আগুন জ্বলল।
আইএলপি-বিরোধীরা আজ চূড়চাঁদপুর জেলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফুংজাথাং টংসিং-সহ পাঁচ বিধায়কের বাড়িতে হামলা চালায়। আগুনও লাগানো হয়। আগুনে দগ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মন্ত্রী ও বিধায়করা অবশ্য ইম্ফলে রয়েছেন। রাতে, শেষ খবর পাওয়া অবধি উত্তেজিত জনতা দমকল আসার পথ বন্ধ করে রেখেছে। জেলাশাসক ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে, রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে। প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ও আধা সেনা পাঠাতে বলেছে। জারি করা হয়েছে কার্ফু।
আজই মণিপুর বিধানসভার এক দিনের বিশেষ অধিবেশনে সর্বসম্মত ভাবে অনুমোদিত হল ‘প্রোটেকশন অব মণিপুরি পিপল বিল ২০১৫’। পাশাপাশি, অন্য দুটি আইন— মণিপুর ল্যান্ড রেভেনিউ অ্যান্ড ল্যান্ড রিফর্মস অ্যাক্ট ও মণিপুর শপ অ্যান্ড এস্টাবলিসমেন্ট অ্যাক্টের সংশোধনীও পাশ হয়েছে।
এ দিনের বিশেষ অধিবেশনে ১০ মিনিটের মধ্যেই সর্বসম্মত ভাবে বিল ও সংশোধনীগুলি পাশ হয়।
এর ফলে অ-মণিপুরিদের সর্বাধিক ছ’মাসের আইএলপি দেওয়া হবে। পরে ক্ষেত্র বিশেষে তার মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
মণিপুরে প্রবেশের সময়ই বহিরাগতদের পারমিট নিতে হবে। বিলে মণিপুরি বলতে ১৯৫১ সালের নাগরিক পঞ্জি ও ভোটার তালিকা এবং ভিলেজ ডিরেক্টরিতে নাম থাকা ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, রাজ্যে থাকা সব বহিরাগতের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। যাঁরা বহিরাগতদের আশ্রয় দেবেন বা কাজ দেবেন, এই নথিভুক্তিকরণের দায়িত্ব তাঁদেরও নিতে হবে। বহিরাগতদের ভারতীয় হওয়ার প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে। বহিরাগতরা মণিপুরে জমি-বাড়ি কিনতে চাইলে সরকারের তাঁদের সেই জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে।