ফের উত্তরপ্রদেশ। বরেলী-দিল্লি হাইওয়ের ধারে মিলল এক মহিলার বিবস্ত্র দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলেই সন্দেহ করছে পুলিশ।
বদায়ূঁ-কাণ্ডের ছায়া এখনও সরেনি। দুই দলিত কিশোরীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এখনও মুখ বাঁচাতে ব্যস্ত অখিলেশের সরকার। আজই আদালত ধর্ষিতা দুই মেয়ের বাড়ির লোকের নার্কো অ্যানালিসিস, পলিগ্রাফি এবং ব্রেন ম্যাপিং টেস্টের অনুমোদন দিয়েছে সিবিআইকে। এরই মধ্যে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে চাপ বাড়াল উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
স্থানীয় থানার অফিসার তেজবীর সিংহ জানিয়েছেন, “মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। হতে পারে, তাঁকে অন্য কোথাও ধর্ষণ ও খুন করার পরে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে হাইওয়ের ধারে ফেলে যাওয়া হয়েছে।” রবিবার রাতে আরও একটি ধর্ষণের অভিযোগ জমা পড়েছে উত্তরপ্রদেশেরই ঔরাইয়া জেলায়। কাঞ্চোসি গ্রামে এক ১৩ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাতে সে শৌচকর্ম সারতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। তখনই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে একাধিক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই।
এ দিকে, ঠাণের এক মহিলাকে চাকরির লোভ দেখিয়ে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে যৌনপেশায় নামানোর অভিযোগ উঠেছে। কোনও মতে পালিয়ে এসেছেন ওই মহিলা। পুলিশে লিখিত অভিযোগ করে দুই সন্তানের মা ওই মহিলা জানিয়েছেন, গত ৩০ এপ্রিল স্থানীয় দুই মহিলা তাঁকে ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে খান্ডোয়ায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির হাতে। জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। এর পর প্রায় এক মাস ওই ব্যক্তির কাছেই বন্দি ছিলেন তিনি। প্রায় রোজই চলত অত্যাচার। এর পর তাঁকে জোর করে যৌনপেশায় নামানো হয়। কয়েক দিন এ ভাবেই কাটাতে বাধ্য হন তিনি। এক দিন সুযোগ বুঝে পালাতে সক্ষম হন। ফিরে এসে পুলিশের কাছে তিনি দশ জনের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সেই দুই মহিলার নামও।