শেষ পর্যন্ত বহাল থাকল পিনারাই বিজয়নের পছন্দই! জেলা নেতৃত্বের আপত্তি সত্ত্বেও কেরলে বামেদের চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজয়নের আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীরাই। রাজ্যের মোট ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে সিপিএম লড়ছে ১৫টিতে। তার মধ্যে পাঁচটিতেই (অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ) এ বার বাম-সমর্থিত নির্দল প্রার্থী থাকছেন। বাকি আসনগুলির মধ্যে চারটিতে সিপিআই এবং একটিতে দেবগৌড়ার দল জেডি (এস) লড়ছে।
সিপিএমের বাইরে থেকে এসে যাঁরা এ বার কেরলে বাম প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন মালয়ালম ছবির কৌতূকাভিনেতা ইনোসেন্ট। ত্রিশূরের চালাক্কুডি আসন থেকে বাম সমর্থনে দাঁড় করানো হয়েছে তাঁকে। জেলা সিপিএমের আপত্তি উপেক্ষা করেই এর্নাকুলামের প্রার্থী প্রাক্তন আইএএস এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের তৎকালীন সচিব ক্রিস্টি ফার্নান্ডেজ। ইদুক্কি আসন থেকে নির্দল প্রার্থী জয়েস জর্জ। পাতানামতিট্টায় প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি ফিলিপোজ টমাস এবং পোন্নানি কেন্দ্রে মুসলিম লিগ ছেড়ে-আসা ভি আব্দুরহমানও বাম টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন।
সিপিআইয়ের ‘কোটা’র চারটি আসনের মধ্যে তিরুঅনন্তপুরমের প্রার্থী পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন কর্তা এবং ক্যাথলিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বেনেট পি আব্রাহাম।
লোকসভায় বলিয়ে-কইয়ে মুখ পাঠানোর জন্য দলের শীর্ষ কমিটির কয়েক জন নেতাকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেরল সিপিএম। সেই সিদ্ধান্তমতোই চূড়ান্ত তালিকায় কোল্লম আসনে দলের পলিটব্যুরোর সদস্য এম এ বেবি এবং কোঝিকোড় ও কান্নুর কেন্দ্রে আরও দুই
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ বিজয়রাঘবন এবং পি কে শ্রীমতির নাম রয়েছে। দলের চার বর্তমান সাংসদ পি করুণাকরন (কাসারগোড়), এম বি রাজেশ (পালাক্কাড), পি কে বিজু (আলাতুর) এবং এ সম্পতও (আট্টিঙ্গল) প্রত্যাশিত ভাবেই ফের প্রার্থী হয়েছেন।