বিদেশের চাঁদা নিয়ে বিপাকে আপ

এ বার চাঁদার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ নিয়ে বিতর্কের মুখে আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে কুড়ি কোটি টাকা চাঁদা তুলেছিল আপ শিবির। সেই টাকা কী ভাবে এল তা এখন প্রশ্নের মুখে। আজ দিল্লি হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, কী ভাবে টাকা জোগাড় হয়েছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছিল আপের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ১৯:৪৫
Share:

এ বার চাঁদার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ নিয়ে বিতর্কের মুখে আম আদমি পার্টি।

Advertisement

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে কুড়ি কোটি টাকা চাঁদা তুলেছিল আপ শিবির। সেই টাকা কী ভাবে এল তা এখন প্রশ্নের মুখে। আজ দিল্লি হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, কী ভাবে টাকা জোগাড় হয়েছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছিল আপের কাছে। জবাব আসেনি। আজ কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজীব মেহরা দিল্লি হাইকোর্টকে জানান, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে বিভিন্ন রাজ্যে আপের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই মন্ত্রক জানতে চেয়েছিল, কোনও ক্ষেত্রে বিদেশি অর্থ সাহায্য নিয়ন্ত্রণ আইন (এফসিআরএ) লঙ্ঘন হয়েছিল কি না। কিন্তু সেই উত্তর আসেনি।” কেন্দ্রের ওই উত্তরের পরে বিচারপতি প্রদীপ নন্দ্রাযোগ ওই মামলায় আম আদমি পার্টিকেও শরিক করে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি।

মাস চারেক আগে আইনজীবী এম এল শর্মা একটি জনস্বার্থ মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের বিরুদ্ধে এফসিআরএ আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন। তার পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায় শুধু এফসিআরএ আইন নয়, নির্বাচন কমিশনেরও নির্দেশ রয়েছে, বিদেশ থেকে আসা অর্থ নির্বাচনী প্রচারে খরচ করা যাবে না। যদিও আপ নেতৃত্বের যুক্তি, দল প্রবাসী ভারতীয়দের কাছ থেকেই অর্থ সাহায্য নিয়েছে। কোনও বিদেশি নাগরিকের থেকে টাকা নেওয়া হয়নি।

Advertisement

এক দিকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য জোরকদমে অর্থ সংগ্রহে ব্যস্ত আপ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ওই খাতে সাত কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। অর্থ সংগ্রহে যখন আরও তৎপরতার কথা ভাবা হচ্ছে তখন ওই মামলায় নতুন করে অস্বস্তিতে আপ শিবির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন