Dilip Ghosh

‘রাজনীতি ঠিক মতো করতে না পারলে গরু চরাও গে যাও!’ বিজেপি কর্মীদের উপর রেগে কাঁই দিলীপ

দলীয় কর্মীদের উপর প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কেন কর্মীরা দলীয় কর্মসূচি ঠিক করে পালন করছেন না, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৪ ১০:২৪
Share:

দিলীপ ঘোষ —ফাইল চিত্র।

দিলীপ ঘোষের কথায় আবার এল গরুর কথা। তবে এ বার দুধ বা সোনা নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়। দলীয় কর্মীদের একাংশকেই গরু চরানোর পরামর্শ দিলেন বিজেপি নেতা। মেজাজ হারিয়ে কর্মীদের প্রকাশ্যেই বকুনি দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ। কেন কর্মীরা দলীয় কর্মসূচি ঠিক করে পালন করছেন না, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। ভর্ৎসনা করে বললেন, ‘‘রাজনীতি ঠিক করে করতে না পারলে গরু চরাও গে যাও।’’

Advertisement

বুধবার প্রার্তভ্রমণে বেরিয়েছিলেন দিলীপ। তার পর চা-চক্র শেষ করে দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা হাউজ়িং হয়ে গোলপার্কের সামনে গিয়েছিলেন। সামনেই তাঁর কেন্দ্রে ভোট। প্রচার এবং কর্মসূচি ঠিক করে চলছে কি না, খোঁজ নিতে গিয়েই চটে যান দিলীপ। তাঁর ঘনিষ্ঠদের সূত্রে খবর, যে ভাবে ওই এলাকায় দলীয় কর্মসূচি করা হচ্ছে, যে ভাবে কর্মীরা কাজ করছেন, তা নিয়ে মোটেই খুশি নন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। ‘ঠিকঠাক’ কর্মসূচি না করায় মেজাজ হারান দিলীপ। কর্মীদের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘রাজনীতি করতে এসেছ এখানে। ঠিক ভাবে করো। না-হলে গরু চরাও গে যাও।’’

দিলীপের বকুনি খেয়ে কর্মীরা চুপ থাকেন। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সূত্রে খবর, সবাই দিলীপকে জানিয়েছেন, তাঁরা কাজে আরও মন দেবেন। নেতা যেমনটা চাইছেন, সে ভাবেই কর্মসূচি করা হবে। আরও সক্রিয় হবেন তাঁরা।

Advertisement

অন্য দিকে, বকুনি নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘ওরা একই জায়গায় বার বার ‘প্রোগ্রাম’ করছে। আমাকে তো বিভিন্ন জায়গায় যেতে হবে। সময় তো কম। আমি ম্যাক্সিমাম জায়গা কভার করতে চাইছি। মাথা চলছে না ওদের। ‘প্রেশার’ (চাপ) নিতে পারছে না।’’ তাহলে কি সমন্বয়ের অভাব দেখা দিচ্ছে? দিলীপের জবাব, ‘‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

এই ঘটনার কিছু ক্ষণ পর এক কংগ্রেস নেতার মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে চলে যান দিলীপ। সদ্য মাতৃহারা হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রদেশ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী। সেটা জানার পরেই বিজেপি প্রার্থী দিলীপ দেবেশের বাড়িতে যান তাঁকে সহমর্মিতা জানাতে। দিলীপের এই সৌজন্যে খুশি ওই পরিবারও। সেখান থেকে বেরিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি বরাবরই সৌজন্যের রাজনীতি করে এসেছি। ওঁর (দেবেশ) মায়ের মৃত্যুর খবরটা শুনে মনে হয়েছে একবার দেখা করা উচিত। তাই ওঁর বাড়িতে এসেছি। আর এটাই হওয়া উচিত। সমাজে আছি। সবার সুখে-দুঃখে না থাকলে কী লাভ!’’ দিলীপের সংযোজন, ‘‘খড়্গপুরে থাকাকালীনও এটা করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন